এই মুহূর্তে




মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গণহত্যা-ধর্ষণকে ‘অধিকার’ হিসাবে স্বীকৃতি দিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বিচারের নামে প্রহসন সংগঠিত করে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের কসাই তথা আল-বদর বাহিনীর প্রধান এটিএম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দিয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সবচেয়ে বিস্ময়ের হল, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম যুদ্ধাপরাধে জড়িত কাউকে বেকসুর খালাস দেওয়া হল। সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হল। ইতিম্যেই আজহারের মতো কসাই ও ধর্ষককে বেকসুর খালাসের রায় নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। লক্ষ্যণীয়, যে সাত বিচারপতি ওই রায় দিয়েছেন তারা সবাই মুক্তিযু্দ্ধ বিরোধী এবং রাজাকার পরিবারের পুত্র কন্যা। পাঠকদের সুবিধার্থে ওই বিচারপতির পদে থাকা ওই সাতজনের পরিচয় উল্লেখ করা হল-

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আমেদের বাবা সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদও ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গঠিত আল বদর বাহিনীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার পুরস্কার হিসাবে জিয়াউর রহমান জমানায় অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনি শরিফুল হক ডালিম-ফারুক আমেদদের রক্ষাকবচ দিতে যে অধ্যাদদেশ জারি হয়েছিল তার হোতা ছিলেন সৈয়দ ইশতিয়াক।

বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের বাবা একেএম নুরুল ইসলাম ছিলেন পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত আল শামস বাহিনীর প্রধান হোতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব খুন হওয়ার পরে তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর বাবা আবদুর রহমান চৌধুরীও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। জামায়াত-ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশ সুরার সদস্য ছিলেন।

বিচারপতি রেজাউল হকের বাবাও ছিলেন ‘আল শামস’ বাহিনীর সদস্য। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাক হানাদার বাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরিয়ে দিতে সহযোগিতা করেছিলেন। বিচারপতি রেজাউল হক নিজে ছিলেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা। পরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের নেতা হয়ে যান। খালেদা জিয়ার জমানায় হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পান।

বিচারপতি ইমদাদুল হকও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শিবিরের আইনজীবী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ছাত্র জীবনে পাকিস্তানপন্থী জামায়াত ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের শীর্ষ নেতা ছিলেন। খালেদা জিয়ার জমানায় বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পান।

বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানও আইনজীবী মহলে জামায়াত ইসলামী ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। বিচারপতি হিসাবে ঘুষ নিয়ে রায়দানের মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এজলাসে বসেই বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অশ্রাব্য ভাষায় কটুক্তি করে বিতর্কে জড়িয়েছেন।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের বাবা মাহবুবুর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নোয়াখালীর আল শামস বাহিনীর প্রধান। পরে স্বৈরাচারী হুসেন মুহাম্মদ এরশাদের অপকর্মের অন্যতম সাগরেদ ছিলেন। এরশাদ জমানায় বাংলাদেশ থেক হিন্দু বিতাড়ন আন্দোলনের মূলচক্রী ছিলেন। এরশাদ জমানার  পতনের পরে ডিগবাজি খেয়ে বিএনপিতে নাম লেখান।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মার ইলিশ ধরার অপরাধে ১৫ মৎস্যজীবীর জেল

শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ নেতার সঙ্গে তিন রাষ্ট্রদূতের গোপন বৈঠক ঘিরে শোরগোল বাংলাদেশে

‘জঙ্গি ক্রিকেটার’ তৈরিতে মাদ্রাসার দিকে বিশেষ নজর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতির

লক্ষ্য ভারত! ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চিন থেকে যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

এক ডজন বিয়ে করতে চান পরীমণি, বিতর্কিত নায়িকার কথা শুনে থ ভক্তরা

ইউনূস সরকারের কীর্তি, মা ইলিশ সংরক্ষণে মোতায়েন করল ১৭ যুদ্ধজাহাজ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ