এই মুহূর্তে




মানবিক করিডর নিয়ে বাংলাদেশে ‘গৃহযুদ্ধ’, বিরোধিতা করায় সরানো হল বিদেশ সচিবকে




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আমেরিকা ও জাতিসঙ্ঘের নির্দেশে রাখাইন প্রদেশে ত্রাণ কার্যের জন্য বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ‘মানবিক করিডর’ তৈরি নিয়ে শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার মাসুল গুণতে হল বিদেশ সচিব জসীমউদ্দিনকে। তাঁকে বিদেশ সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত বিদেশ সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের বিশ্বস্ত চর হিসাবে পরিচিত নজরুল ইসলামকে। বর্তমানে তিনি বিদেশ মন্ত্রকের পূর্ব শাখার সচিব। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, জসীমউদ্দিনকে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন ‘দালাল’ তথা বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ইতিমধ্যেই বিদেশ সচিবের পদ থেকে জসীমউদ্দিনের অপসারণ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন ফরেন সার্ভিস ক্যাডাররা।

আমেরিকা ও জাতিসঙ্ঘের যৌথ ষড়যন্ত্রে গত বছর ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ হতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। আর তার পরেই ক্ষমতায় আসীন হয়ে প্রতিদদান চোকাতে আসরে নামেন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও রাজাকার বাহিনীর অন্যতম শীর্ষ নেতা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের শীর্ষ পদে বসাতে শুরু করেন আলী রিয়াজ, খলিলুর রহমানের মতো সিআইএ’র এজেন্টদের। গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেই মার্কিন প্রভুদের নির্দেশ মেনে কাজ শুরু করেন।চিন  ও ভারতকে চাপে রাখতে মায়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া আরাকান আর্মিকে মদত জোগাতে শুরু করেন। আরাকান আর্মির রসদে যাতে ঘাটতি না হয় তার জন্য রাখাইন প্রদেশে ত্রাণের পার্বত্য চট্টগ্রামের নাইক্ষ্যাছড়ি থেকে মায়ানমারে পৌঁছনোর জন্য ‘করিডর’  তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের বার্থগুলি আমেরিকার পছন্দের কয়েকটি বিদেশি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটনস্থল সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে বিচ্ছিন্ন করে নৌ-ঘাঁটি গড়ার জন্য আমেরিকাকে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়।

ইতিমধ্যেই দেশের সার্বভৌমত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সহহ তিন বহিনীর প্রধানরা। এমনকি সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন বিদেশ সচিব জসীমউদ্দিনও। সেনাপ্রধান সহহ তিন বাহিনীর প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হিম্ম‍ৎ দেখাতে না পারলেও বিদেশ সচিবের বিদ্রোহ ভাল চোখে দেখেনি ইউনূস সরকার। গতকাল মঙ্গলবারই (২০ মে) বিদেশ সচিবকে ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জসীমউদ্দিনের স্থলে বিদেশ সচিব হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার বিশ্বস্ত চর তথা বিদেশ মন্ত্রকের সচিব (পূর্ব) নজরুল ইসলাম। সূত্রের খবর, জসীমউদ্দিনকে জানানো হয়েছে, মানবিক করিডর নিয়ে বিরোধিতার রাস্তা থেকে সরে এলে উত্তর আমেরিকার কোনও একটি দেশে রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ পাবেন। না হলে ছুটি থেকে ফেরার পরে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, গত বছর ক্ষমতার পালাবদলের পরেই বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেনকে সরিয়ে দেওয়া হহয়। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হয় জসীমউদ্দিনকে। আগামী বছরের ডিসেম্বরে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার শেখ হাসিনার নাতি

‘তোমায়…..দিবা’, এনসিপি নেত্রীকে অশালীন প্রস্তাব ইউনূস ঘনিষ্ঠের, তোলপাড় বাংলাদেশ

মুক্তিযুদ্ধে একাই খতম করেছিলেন ৬ রাজাকারকে, না ফেরার দেশে বীরাঙ্গনা সখিনা

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ আদালত

পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী তারেক, রাষ্ট্রপতি ইউনূস, লন্ডন বৈঠকে চুক্তি

ভয়ঙ্কর ঘটনা, ঢাকার জেলে খুনের পর ঝুলিয়ে দেওয়া হলো আওয়ামী লীগ নেতার দেহ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ