নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সীমান্তে লাগাতার মর্টারশেল ও গোলা ছুড়ছে মায়ানমার সেনাবাহিনী (Myanmar Army)। শেষ পর্যন্ত যদি পড়শি দেশ আক্রমণের পথে যায়, তাহলে যাতে যোগ্য জবাব দেওয়া যায় তার জন্য সেনাবাহিনীকে (Armed Forces) সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Bangladesh Home Minister) আসাদুজ্জামান খান কামাল (Asaduzzaman Khan Kamal)। বুধবার তিন বাহিনীর প্রধান ছাড়াও পুলিশ প্রধানের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠকেই মায়ানমারের হামলা রুখতে সবরকমের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Bangladesh Home Minister)। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।’
গত কয়েকদিন ধরেই বান্দরবানের (Banderban) বিভিন্ন সীমান্তে লাগাতার মর্টার ও গোলা ছুড়ছে মায়ানমার সেনাবাহিনী (Myanmar Army)। মূলত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের (Rohingya Refugees) লক্ষ্য করেই ওই মর্টার ও গোলা ছোড়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সেনাবাহিনীর ছোড়া গোলায় এক নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ঢাকায় নিযুক্ত মায়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে (Myanmar Envoy To Bangladesh) তলব করে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে। মায়ানমার সেনাবাহিনী যাতে সংযত থাকে, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। যদিও তাতে পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র বদলায়নি।
মায়ানমার সেনাবাহিনী যে কোনও মুহুর্তে আক্রমণ শানাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সীমান্তে বসবাসকারী গ্রামবাসীরা। এদিন তিন বাহিনী ও পুলিশের প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মায়ানমার সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে হামলা হলে যাতে যোগ্য জবাব দেওয়া যায়, তার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ’আমরা কাউকে ভয় করি না। আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছি, আমরা কাউকে কাউন্ট করি না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে সেনাপ্রধান (Bangladesh Army Chief) জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের (S M Shafiuddin Ahmed) কণ্ঠেও। তাঁর কথায়, ‘সীমান্তে মায়ানমারের সঙ্গে উত্তেজনায় যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত।’