নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে শুক্রবার রাতে দেশের তিন জায়গায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। সবচেয়ে বড় পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে যশোর-মাগুরা মহাসড়কে। অটো-বাসের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে সাত জন। তার মধ্যে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য রয়েছেন। পৃথক তিন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও কয়েকজন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
শুক্রবার প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটেছে যশোর-মাগুরা মহাসড়কে। সন্ধে সাড়ে ছয়টা নাগাদ যশোর সদর উপজেলার লেবুতলায় যাত্রী বোঝাই একটি অটোরিকশাকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় যশোর থেকে ঢাকাগামী একটি বাস। ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় অটো রিকশাটি। ঘটনাস্থলেই চার যাত্রী প্রাণ হারান। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে যশোর জে্নারেল হাসপাতালে পাঠান দমকল কর্মীরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিন জন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ঘাতক বাসটি আটক করা হলেও চালক ও খালাসি দুর্ঘটনার পরেই পালিয়ে যান।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে সিলেট তামাবিল সড়কে। রাত দশটা নাগাদ সিলেট থেকে জাফলংগামী বাসের সঙ্গে উল্টোদিক থেকে আসা একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অটোরিকশাটিতে চালক-সহ মোট যাত্রী ছিলেন। তার মধ্যে পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকি তিন যাত্রীকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তৃতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বালুয়া বাজারের কাছে শ্যামলী পরিবহণের একটি বাসের সঙ্গে পণ্যবাহী একটি ট্রাকের মুখোমুখি আসংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের। আহত হয়েছেন ৩০ জন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, শ্যামলী পরিবহণের গাড়িটি ঢাকা থেকে রংপুর যাচ্ছিল। আর পণ্যবাহী ট্রাকটি রংপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিল।