নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: প্রথম দু’দফায় রক্তাক্ত হয়েছিল ইউনিয়ন পরিষদ ভোট। অকালে ঝরেছিল একাধিক প্রাণ। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা। এমতাবস্থায় আগামিকাল রবিবার তৃতীয় দফায় দেশের এক হাজার সাতশো ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট নেওয়া হবে। একইসঙ্গে ১০টি পুরসভায়ও ভোট নেওয়া হবে। তৃতীয় দফার ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয় তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তার বন্দোবস্থ করা হয়েছে।
তৃতীয় দফায় যে এক হাজার সাতশো ইউপিতে ভোট নেওয়া হবে, তার মধ্যে একশোটিতে বিনা লড়াইতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। জয়ীদের সবাই আওয়ামি লিগের। তাছাড়া ৫৬৯ জন সদস্যপদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। দেশের শাসকদল আওয়ামি লিগই কার্যত গ্রাম বাংলার ভোটে লড়াই করছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি গ্রাম বাংলার ভোট বয়কট করেছে। রওশান এরশাদের দল জাতীয় পার্টিও তেমন সক্রিয় নয়। মূলত, আওয়ামি লিগের সরকারি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মাটি কামড়ে লড়াই চালাচ্ছেন দলের বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা।
তৃতীয় দফায় যাতে প্রথম দু’দফার ভোটের পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবসা করেছে নির্বাচন কমিশন। সংবেদনশীল এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালানোর জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশও পাঠানো হয়েছে। যদিও ভোটে রক্তপাতকে গুরুত্বই দিতে চাননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল। তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, ‘কোন দেশে ভোটে রক্তপাত হয় না? আগামী ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ দফায় ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট নেওয়া হবে। আর ৫ জানুয়ারি পঞ্চম দফায় ভোট নেওয়া হবে।