এই মুহূর্তে




ভারতীয় সেনার তাড়া খেয়ে ঢাকায় পাকিস্তানি দূতাবাসে ডেরা বেঁধেছে ৪০ লস্কর জঙ্গি




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানের বদলা নিতে উত্তর-পূর্ব ভারতে নাশকতা চালাতে দুবাই হয়ে ঢাকায় পৌঁছেছ হাফিজ সাইদের লস্কর-ই-তৈয়বার ৪০ জঙ্গি। দুটি ভিন্ন দেশের বিমানে গত রবিবার ঢাকায় এসে পৌঁছেছে ওই ৪০ জঙ্গি। ঢাকায় পাকিস্তানি দূতাবাসেই নিরাপদ আশ্রয়ে ওই জঙ্গিদের রাখা হয়েছে বলে জনা গিয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে নিরাপদে ওই ৪০ লস্কর জঙ্গিকে পাক দূতাবাসে পৌঁছে দিয়েছেন ঢাকার ডিআইজি তথা ছাত্রজীবনে পাকিস্তানপন্থী জামায়াত ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের শীর্ষ নেতা রেজাউল করিম মল্লিক। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, ওই ৪০ জঙ্গিকে কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা জানতে রবিবার সন্ধ্যাতেই জরুরি তলব পেয়ে ইসলামাবাদে পৌঁছেছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ। ৪০ লস্কর জঙ্গির আশ্রয়ের বিষয়ে কথা বলতে চাননি দায়িত্বপ্রাপ্ত পাক রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আসিফ।

গত বছরের জুলাই-অগস্টে শেখ হাসিনা উচ্ছেদ আন্দোলনের সময়ে ইসলামাবাদ থেকে বেশ কয়েকজন লস্কর ও জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি ঢাকায় ঘাঁটি গেড়েছিল। সেই সময়ে ওই জঙ্গিদের পাকিস্তান দূতাবাসে এবং দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর কামরান ধাঙ্গালের বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু দূতাবাস তল্লাশি চালানোর কোনও অধিকার নেই পুলিশের, তাই সুনি্দিষ্ট তথ্য পেয়েও কিছু করতে পারেনি ঢাকা মহানগর পুলিশ। যদিও পাক রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফকে ডেকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। যদিও জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বেমালুম অস্বীকার করেছিলেন পাক রাষ্ট্রদূত। ওই জঙ্গিরাই আন্দোলনের সময়ে পুলিশের পোশাক পরে নিরীহ মানুষের উপরে গুলি চালিয়েছিল। আর সেই দোষ গিয়ে পড়েছিল ঢাকা পুলিশের কাঁধে। ক্ষমতার পালাবদল ঘটার পরে ১২-১৪ অগস্ট ঢাকা ছেড়ে যায় ওই জঙ্গিরা।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পরে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের পোষভৃত্য মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরেই পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই মহম্মদ-সহ একাধিক পাক জঙ্গি সংগঠনের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান থেকে আসা একাধিক জাহাজে করে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে আসা হয়েছে বাংলাদেশে। ভারতের অপারেশন সিঁদুরে ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তানের মুরিদকেতে লস্করের সদর দফতর। ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছেন হাফিজ সাঈদ-সহ সংগঠনের দস্যরা।  যোগাযোগের জন্য তারা ব্যবহার করছে নিজেদের তৈরি এনক্রিপ্টেড অ্যাপ। তাদের কথোপকথনের জন্য ব্যবহৃত অ্যাপ থেকে বাংলাদেশকে ব্যবহারের তথ্য মিলেছে। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে ফের  ২৬/১১ বা পুলওয়ামার মতো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ‘মাস অ্যাটাক’ করতে চাইছে লস্করের শীর্ষ নেতারা। অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামাল ভারতে পাঠানোর জন্য বাছা হয়েছে বাংলাদেশের লস্করের স্লিপার সেলের সদস্যদের। বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা দফতর ডিজিএফআইয়ের এক প্রাক্তন আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের পরে ৪০ লস্কর জঙ্গিকে বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টি তদারকি সরকারের শীর্ষ মহলকে জানিয়েছিলেন আইএসআই আধিকারিকরা। ইউনূসের বিশেষ  সহকারী প্রাক্তন সেনা আধিকারিক আব্দুল হাফিজ ও স্বরা্ষ্ট্ উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন তারা। দুজনে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পরেই ৪০ জঙ্গিকে দবাই ও শারজা হয়ে ঢাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভারতকে টক্কর দিতে চিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনছে বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগের উপরে নিষেধাজ্ঞাকে ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা বিদেশ মন্ত্রকের

‘হাসিনা জমানার অবসানের পরে মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে’, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি ইউনূসের নারী উপদেষ্টার

রমনা বটমূল বিস্ফোরণ মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত ছয় হুজি জঙ্গিকে মুক্তি দিল ইউনূস সরকার

হাসিনার দল করায় ঢাকায় মধ্যরাতে গ্রেফতার জনপ্রিয় গায়িকা মমতাজ

ডিগবাজি খেয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল খালেদার দল

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর