এই মুহূর্তে




প্রাণ বাঁচাতে ইস্তফা চেয়ারম্যান-সহ বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: প্রাণ বাঁচাতে আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ পাঁচ নির্বাচন কমিশনার। আর বৃহস্পতিবার ইস্তফা দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং পাঁচ সদস্য। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর কাছে রাতেই ইস্তফা পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। যদিও ইস্তফা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি পদত্যাগী জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেছেন, ‘পরিবার নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতেই ইস্তফা দিয়েছি। না হলে যে কোনও দিন লাশ হয়ে যেতাম।’

পদত্যাগী জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ কর্মজীবনে স‍ৎ এবং নিষ্ঠাবান আমলা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিবের পাশাপাশি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রকের সচিবেরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রাক্তন আমলা কামাল উদ্দিন ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর তাঁকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেয় পূর্বতন শেখ হাসিনা সরকার। পাশাপাশি কমিশনের সদস্য হিসাবে নিয়োগ পান আমিনুল ইসলাম, কংজুরি চৌধুরী, বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক তানিয়া হক এবং সেলিম রেজা।

৫ অগস্ট সেনা বিদ্রোহের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ত‍ৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তার পরেই মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে শেখ হাসিনার জমানায় নিয়োগপ্রাপ্তদের ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু হয়। তবে বিচারপতি, নির্বাচন কমিশন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা যেহেতু সাংবিধানিক পদাধিকারী, তাই তাদের ইস্তফা দেওয়াতে আসরে নামে দুই পাকিস্তানি চর হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলম। জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর দুই শীর্ষ নেতা সরাসরিই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের সরে দাঁড়ানোর হুমকি দেন। সরে না দাঁরালে লাশ ফেলে দেওয়া হবে বলে হুঙ্কার ছাড়েন। ওই হুঙ্কারের পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতি ইস্তফা দেন। পরে সরে দাঁড়ান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার নির্বাচন কমিশনার। এবার তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রান বাঁচাতে ইস্তফা দিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ছয় শীর্ষ পদাধিকারী। আর এই ইস্তফসার ফলে শূন্য হয়ে গেল মানবাধিকার কমিশন। সূত্রের খবর, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং পাকিস্তানপ্রেমী এক প্রাক্তন বিচারপতিকে মানবাধিকার কমিশনের শীর্ষ পদে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোল্লা ইউনূসের সরকার।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাস্কের পায়ে পড়েও লাভ হল না, ফের বাংলাদেশের আর্থিক অনুদান বাতিল

শাহরুখ খানের দল ছেড়ে দিল‌ সাকিব আল হাসানকে

‘ট্রাম্পের কাছে গিয়েও কিছু করতে পারেনি’, মোদিকে ব্যঙ্গ মোল্লা ইউনূসের

মৌলবাদীদের হামলার হুমকিতে এবার ঢাকায় বন্ধ হল নাট্যো‍ৎসব

নবীকে কটাক্ষ করে কবিতা লেখার অভিযোগে বাংলাদেশে গ্রেফতার কবি

অপারেশন ডেভিল হান্টে ৭ দিনে গ্রেফতার ৩,৯২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর