এই মুহূর্তে




বাংলাদেশে ফের সেনা অভ্যুত্থান! আচমকাই ইউনূসের কাছে তিন বাহিনীর প্রধান

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোট নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্মুখসমরে বিএনপি-জামায়াত ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি। গণভোটের বিরোধিতায় যেমন সরব হয়েছে খালেদা জিয়ার বিএনপি, তেমনই গণভোট ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না বলে হুঙ্কার ছেড়েছে পাকিস্তানপন্থী জামায়াত ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি। তিন দলের ওই অনড় অবস্থানের মধ্যেই শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তাঁরা। আর ওই বৈঠকের পরেই জোর জল্পনা ছড়িয়েছে তবে কি দেশ ফের ১/১১-র মতো পরিস্থিতির দিকেই এগোচ্ছে? সেনাবাহিনীর জনসংযোগ অধিদফতরের (আইএসপিআর) তরফে এ বিষয়ে কোনও কিছু না জানানো হলেও তড়িঘড়ি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের তরফে এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘আগামী ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান।’ যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য হয়নি।

গত বছরের ৫ অগস্ট সেনা অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছাড়া হতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তার তিন দিন বাদে তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী হিসাবে পরিচিত রাজাকার বাহিনীর শীর্ষ নেতা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। গত ১৫ মাস ধরে শাসন ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। যদিও সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্ক অম্লমধুর। সম্প্রতি শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হওয়ার অপরাধে ১৫ সেনা কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনা ঘিরে তদারকি সরকারের সঙ্গে তিন বাহিনীর সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে। খোদ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন সেনাবাহিনীর ৫২ জন জেনারেল। প্রাণ বাঁচাতে ঢাকার সেনা সদর দফতর ছেড়ে কুমিল্লা সেনা ঘাঁটিতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। যদিও ওই সেনা কর্তাদের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নির্ধারিত জেলে না পাঠিয়ে সেনানিবাসের মধ্যে থাকা অস্থায়ী জেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।ফলে খানিকটা হলেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়েছে।

কিন্তু যেভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভেস্তে দিতে জামায়াত ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি মাঠে নেমেছে তাতে শুধু তদারকি সরকার ক্ষুব্ধ নয়। তিন বাহিনীর প্রধান ও অন্যান্য আধিকারিকরাও যথেষ্ট বিরক্ত। সূত্রের খবর, ‘সরকার যদি রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলা করতে না পারে তাহলে সামরিক বাহিনী চুপচাপ বসে থাকবে না-এমন বার্তা দিতেই এদিন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়েছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান। সেক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনার হাতে পুরো ক্ষমতা তুলে দেওয়ার কথাও বলেছেন তিন জন।’ বৈঠকের যে ছবি সংবাদমাধ্যমের হাতে পৌঁছেছে তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান যথেষ্টই গম্ভীর মুখে বসে। নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান জোর করে হাসিমুখে ছবির পোজ দিচ্ছেন। সন্ধে সাতটা থেকে শুরু হয় বৈঠক। ঘন্টা দেড়েকের বেশি সময় ধরে চলে বৈঠক।’ ইতিমধ্যেই বৈঠক ঘিরে বিভিন্ন সম্ভাবনার কথা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ট্রাম্পের বন্দিশালা থেকে ৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন ৬৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি মাসুমা খান

‘হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই’, মতুয়াদের ভোট পেতে শ্লোগান খালেদার দলের মহাসচিবের

শিক্ষকদের আন্দোলন ঘিরে অগ্নিগর্ভ ঢাকা, রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা

অশনিসঙ্কেত! ৫৪ বছর বাদে ফের বাংলাদেশে পৌঁছল ক্ষেপণাস্ত্রবাহী পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজ

মাশরাফি-তামিমের‌‌ পর জাহানারার পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের‌’ দ্রাবিড় ‘ মুশফিকুর

নির্বাচকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলা জাহানারার পাশে মাশরাফি, চাইলেন নিরপেক্ষ তদন্ত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ