নিজস্ব প্রতিনিধি, যশোর: কথায় বলে, ‘যেমন কর্ম তেমন ফল।’
গত সপ্তাহেই কাশির সিরাপ ফেনসিডিলকে গত সপ্তাহেই মাদক হিসেবে ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আর তার পরে মঙ্গলবার ফেনসিডিল চোরাচালানের দায়ে একইসঙ্গে তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোস্তফা কামাল। পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও করেছেন। যদিও মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তিন আসামীর মধ্যে দুজনই বর্তমানে পলাতক।
যশোরের সরকারি আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আবু সেলিম রানা ও অ্যাডভোকেট বিমল কুমার রায় জানিয়েছেন, ১২ বছর আগে ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর সকালে গোপন সূত্রে র্যাব আধিকারিকরা জানতে পারেন, পেট্রোপোল সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিলের একটি বড় চালান বেনাপোলে ঢুকেছে। বিপুল পরিমাণ কাশির সিরাপ যশোরে নিয়ে আসা হচ্ছে। ওই সংবাদ পাওয়ার পরেই আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল বেনাপোল সড়কের গলফ ফিলিং স্টেশনের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন গাড়িতে তল্লাশি শুরু করেন। ওই সময়ে একটি গাড়ি থেকে ১২টি চটের বস্তায় দুই হাজার ২৪৬ বোতল নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার হয়। গাড়িতে থাকা তিনজনকে আটক করা হয়।
নিষিদ্ধ ফেনসিডিল চোরাচালানের দায়ে মাদক দমন আইনে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ওই বছরের ৩০ জুন তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। এদিন মামলার রায় দিতে গিয়ে তিন ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডেরও সাজা শুনিয়েছেন বিচারক মোস্তফা কামাল। ঘটনায় জড়িত গাড়ির চালক আব্দুল কুদ্দুস ও তার সহযোগী গোলাম মাওলা অবশ্য গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।