এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ফানেলের মুখ, তাই বার বার ঝড়ের অভিমুখে বাংলাদেশ

কৌশিক দে সরকার: ভারতীয় উপমহাদেশে(Indian Sub Continent) সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়(Cyclone) কার্যত বছর বছর তাণ্ডব চালায় কোনও না কোনও প্রান্তে। তবে ভারত মহাসাগর ও আরব সাগর অপেক্ষা বঙ্গোপসাগরের(Bay of Bengal) ওপর সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় যেমন বেশি সংখ্যায় হয় তেমনি তার শক্তিও থাকে বেশি। একই সঙ্গে লক্ষ্যণীয় এই সব সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের বেশির ভাগই হয় ভারতের ওড়িশা নাহয় বাংলাদেশে(Bangladesh) গিয়ে ধাক্কা মারে। আর শুধুই ধাক্কা মারাই নয়, রীতিমত তাণ্ডব চালায় সে। ঠিক এখন যেভাবে সিত্রাংকে ঘিরে বাংলাদেশে আশঙ্কার বাতাবরণ তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভূবিজ্ঞানী থেকে আবহাওয়াবিদ, সকলেরই অভিমত মোটামুটি এক। বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে থাকা ভূখণ্ডের আকার অনেকটা ফানেলের মতো। বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে তাই আর দক্ষিণ দিকে বেড়িয়ে যেতে পারে না। অধিকাংশ সময়ই তা উত্তর বা উত্তর পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে হয় ওড়িশায় ধাক্কা মারে নাহলে বাংলাদেশে। আগামী দিনে এইরকম ঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা এখন আরও বেড়ে গিয়েছে। কেননা বঙ্গোপসাগরের জলের উষ্ণতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।   

আরও পড়ুন Cyclone Sitrang: আতঙ্কে কাঁপছে বাংলাদেশ, বন্ধ করে দেওয়া হল লঞ্চ ও বিমান চলাচল

ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ২টি বড় বিপর্যয় ঘটেছে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে যা বিশ্বের ভয়াবহতম ক্ষয়ক্ষতির ইতিহাস গড়ে দিয়েছে। প্রথমটি ১৯৭০ সালে, দ্বিতীয়টি ১৯৯১ সালে। পরিসংখ্যান বলছে ১৯৭০ সালে, যখন বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান হিসাবে চিহ্নিত ছিল সেই সময় ১২ নভেম্বর সন্ধ্যাবেলায় ঘন্টায় ২৪০কিমি বেগে একটি সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল চট্টগ্রামের(Chattagram) কাছে ভোলা(Bhola) দ্বীপে। সেই সময় পাওয়া তথ্য বলছে ঘন্টায় ২৪০কিমি বেগে ধেয়ে আসা সেই ঘূর্ণিঝড় সঙ্গে টেনে এনেছিল সাগরের সুউচ্চ সুতীব্র জলরাশিকে। সেই জলের পাহাড় কার্যত ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ভোলা, হাতিয়া, মঙ্গলার মতো ১৩টি দ্বীপকে। চট্টগ্রাম শহর কয়েক ঘন্টার জন্য চলে গিয়েছিল ৪ ফুট জলের নীচে। সরকারি হিসাব মতো মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ। যদিও বেসরকারি মতে সেই সংখ্যা ৫ লক্ষের ওপর। ১৯৯১ সালে আরও একটি ঝড় ধাক্কা দিয়েছিল বাংলাদেশকে। সেটিও ধাক্কা মেরেছিল চট্টগ্রামে। দিনটা ছিল ২৯ এপ্রিল। ঘন্টায় ২৫০কিমি বেগে ধেয়ে আসা সেই ঝড় প্রাণ কেড়েছিল ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষের। যদিও বেসরকারি মরে সেই সংখ্যা ছিল আড়াই লক্ষের বেশি। গোটা বিশ্বে এই দুটি ঝড় এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ঘটানো ঝড়ের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত, দলে জায়গা পেলেন সাকিব

বুবলীর পর থানায় ছুটলেন অপু বিশ্বাস, তাঁর আবার কী অভিযোগ?

পুত্রের পর কন্যাসন্তানের মা হলেন পরীমণি

তাঁর নামে মিথ্যে প্রচার, একাধিক ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বুবলীর

সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তের সঙ্গে দুর্ব্যবহার সাকিবের

শেখ হাসিনার দিল্লি সফর চূড়ান্ত করতে বুধে ঢাকায় যাচ্ছেন বিদেশ সচিব

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর