নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদের চতুর্ত দফার ভোটেও রক্তপাত এড়ানো গেল না। রবিবারের ভোট ঠাকুরগাঁও ও পিরোজপুরের রাঙাবালিতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ও পুলিশের গুলিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ব্যালট ছিনতাই সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। যদিও বিচ্ছিন্ন অশান্তি সত্বেও এদিনের ভোটপর্বকে শান্তিপূর্ণ আখ্যা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব খন্দকার হুমায়ুন কবীর। চতুর্থ দফার ভোটে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রের যে ফলাফল পাওয়া গিয়েছে তাতে শাসকদল আওয়ামী লীগের ভরাডুবির আভাস মিলেছে। উল্টোদিকে বিএনপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা অপ্রত্যাশিত ফল করেছেন।
এদিন চতুর্থ দফায় দেশের ৮৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদের জন্য ভোট নেওয়া হয়। তবে প্রথম তিন দফার তুলনায় চতুর্থ দফার ভোট ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে সকাল থেকেই তুমুল উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। কোথাও-কোথাও সন্ধ্যার পরেও ভোটের লাইনে বহু ভোটারকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। প্রথম তিন দফার ভোট রক্তাক্ত হলেও নির্বাচন কমিশনের কড়া অবস্থানের ফলে এদিন অবশ্য তেমন বড় ধরনের অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তবে রক্তপাত এড়ানো যায়নি। ভোট হিংসার বলি হয়েছেন দুজন।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার ১৪ নং রাজাগাঁও ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরে যুযুধান দুই গোষ্ঠী একে আন্যের উপরে চড়াও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়। পুলিশের গুলিতে হামিদুল ইসলাম নামে একজন বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও পাঁচ জন। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে। সেখানে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুল খালেক নামে এক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরু হলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে পরের দফার ভোট পিছিয়ে যায়। সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ভোটে ব্যাপক হিংসার ঘটনায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম দফায় ৭০৭ টি ও ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ দফায় ২১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।