নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: মাঘের প্রথম সপ্তাহেই দেশজুড়ে দাঁত কাঁপানো ঠাণ্ডা। বৃহস্পতিবার দেশের উত্তরপ্রান্তের জেলা নওগাঁয় তাপমাত্রা নেমেছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এখনও পর্যন্ত চলতি মরসুমে এটাই সবনিম্ন তাপমাত্রা। নওগাঁর পাশাপাশি দেশের ২৭ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় কার্যত স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক ধাক্কায় প্রায় তিন ডিগ্রি কমেছে।
গত ১৪ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এদিন সেই রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে নওগাঁ। এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নেমেছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঠাণ্ডার পাশাপাশি তীব্র কুয়াশার কারণে বেলা পর্যন্ত অধিকাংশ জেলাতে সূর্যের দেখা মেলেনি। দাঁত কাঁপানো ঠাণ্ডার সঙ্গে উত্তরে হাওয়াও রয়েছে। ফলে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি সাধারণ মানুষ। নওগাঁর পাশাপাশি টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, কুষ্ঠিয়া, লালমনিরহাট, চুয়াডাঙ্গাতেও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে। মাঝে বেশ কয়েকদিন তাপমাত্রা বাড়ার পরে আচমকাই পারদ নিচের দিকে নামায় সর্দি-জ্বর সহ বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশা থাকায় ফেরি পরিষেবা যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে, তেমনই যান চলাচলও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। পথ দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়ছে।
আচমকাই প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আবহবিদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, হিমেল বাতাসের কারণে তাপমাত্রা নিম্নমুখী হচ্ছে। তবে তিন দিন বাদে তাপমাত্রার বেশ কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে আশা করছেন আবহবিদরা।