নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশে করোনার সংক্রমণের মধ্যেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে করোনার নয়া প্রজাতিতে শনাক্তের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। দেশে এই মুহুর্তে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে। আর এই তথ্যই স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই দেশে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এক সপ্তাহে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ যেমন ১১৫ শতাংশ বেড়েছে, তেমনই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজারের গণ্ডির কাছাকাছি পৌঁছেছে। মৃত্যু বেড়েছে ১৫ শতাংশ। সংক্রমণের এই বৃদ্ধি করোনার নতুন ধরনের কারণে, নাকি অন্য কারণ আছে—তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি মারণ ভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রনও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। দেশে ওমিক্রনের গুচ্ছ সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে অভিমত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। যদিও স্বাস্থ্য অধিদফতরের আধিকারিকরা তা মানতে চাননি।
গত ১০ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ে ফেরত দুই মহিলা ক্রিকেটারের শরীরে প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছিল। তার পর থেকে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। গত ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০ জনে। সোমবার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে। আক্রান্তদের প্রত্যেককেই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। যেভাবে ওমিক্রনে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে জিনোম সিকোয়েন্সের উপরে জোর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।