নিজস্ব প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ: বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন মুজিব সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। জাতীয় চার নেতার অন্যতম ছিলেন মৃদুভাষী মানুষটি। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকার সময়েই খুন হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষটির দুই সন্তানই এবার সাংসদ হওয়ার ভোটে পরস্পরের মুখোমুখি। দাদা-বোনের ওই লড়াই এখন গোটা দেশের মানুষের কাছে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।
কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) সংসদীয় আসনে দীর্ঘদিন ধরে সাংসদ ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলামের বড় ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তাঁর অকাল মৃত্যুর পরে আওয়ামী লীগের হয়ে ওই আসন থেকে জয়ী হন সৈয়দ নজরুল ইসলামের কন্যা সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটের ময়দানে তিনি। এবারে শাসকদলের হয়ে মনোনয়ন চেয়েছিলেন দেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির আর এক ছেলে তথা প্রাক্তন সেনা আধিকারিক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম। কিন্তু মনোনয়ন পাননি তিনি। আর তার পরেই নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন।
রক্তের সম্পর্ক হলে কী হবে, দাদা-বোনের কেউই কাউকে এক সুতো জমি ছাড়তে নারাজ। দুজনেই দিন রাত এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। বোনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজের কাকার ছেলে তথা স্থানীয় আওয়ামী লীগের দাপুটে নেতা সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুকে পাশে পেয়েছেন শাফায়েতুল ইসলাম। ফলে সাংসদ বোনকে বেশ টক্কর দিচ্ছেন তিনি। আওয়ামী রাজনীতির ধারক হিসাবে পরিচিত ‘সৈয়দ পরিবারে’র আপন দুই ভাইবোনের মধ্যে ৭ জানুয়ারি ভোটে কে বিজয়ী হবেন, তা নিয়ে চলছে তুমুল উত্তেজনা।