নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশের অন্যতম এলিট ফোর্স র্যাবের প্রাক্তন ও বর্তমান ছয় আধিকারিকের উপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের এক অনুষ্ঠানে আমেরিকার নাম উচ্চারণ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে তাদের কাছ থেকে আমাদের আইনের শাসনের কথা শুনতে হয়, গণতন্ত্রের কথাও শুনতে হয়, ন্যায়বিচারের কথাও শুনতে হয়।’
গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান প্রধান বেনজীর আহমেদ সহ দেশের এলিট ফোর্স র্যাবের প্রাক্তন ও বর্তমান ছয় আধিকারিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন রাজস্ব দফতর। ওই সিদ্ধান্তে যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়ে বাংলাদেশ সরকার। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জরুরি তলব করে এ বিষয়ে বাংলাদেশের অসন্তোষের কথা জানিয়ে দেন বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন। কিছুটা চাপে পড়ে ১৬ ডিসেম্বর বিদেশ মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে ফোন করেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারিকে হাতিয়ার করে পাল্টা সরকারকে বিঁধতে আসরে নেমেছে মার্কিন বান্ধব একাধিক বিরোধী দল।
এদিন বিকালে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ ও ‘বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড জুডিসিয়ারি’ শীর্ষক বাংলা ও ইংরেজিতে মুজিব স্মারক গ্রন্থ এবং ‘ন্যায়কণ্ঠ’ শীর্ষক মুজিববর্ষের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের জন্য কথা বলে আর খুনিদেরকে আশ্রয় দেয়, প্রশ্রয় দেয়। কেন আমি জানি না। তারা নাকি বিশ্বের সব থেকে গণতান্ত্রিক দেশ!’