নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশের কোষাগারের দশা ভাঁড়ে মা ভবানী। তাই এবার রাজস্ব বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিশেষ ছাড় দেওয়া বন্ধ করে দিল সেতু বিভাগ। পদ্মা সেতু সহ দেশের অন্যান্য সেতু দিয়ে যাতায়াতের সময়ে তাঁদের নির্ধারিত টোল ট্যাক্স দিতে হবে। বৃহস্পতিবার সেতু কর্তৃপক্ষের বিশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একমাত্র রাষ্ট্রপতিকেই কোনও টোল ট্যাক্স দিতে হবে না।
দেশে এতদিন পদ্মা সহ নানা সেতু (যেখানে টোল ট্যাক্স দোতে হয়) দিয়ে যাতায়াতের সময়ে বিশেষ সুবিধা পেতেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি আধিকারিকরা। ভিআইপি মর্যাদা পাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে থাকা কনভয়ের গাড়িগুলিও ছাড় পেত। কিন্তু আয় বাড়াতে এদিনের সভায় সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, এখন থেকে শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি এবং দমকল সহ জরুরি পরিষেবার গাড়ি বাদে সব গাড়িকে পদ্মা সহ অন্যান্য সেতুতে টোল পরিশোধ করতে হবে। সেতুমন্ত্রী এদিন দাবি করেছেন, এতদিন টোল ছাড়ের সুবিধা পেলেও তা ব্যবহার করেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টোল দিয়েই তিনি বিভিন্ন সেতু পারাপার করেন।
রাষ্ট্রপতি ছাড়া বাকিদের টোল ছাড়ের সুবিধা উঠে যাওয়ায় সেতু বিভাগের আয় বাড়বে বলেই মনে করছেন সেতু বিভাগের কর্মীরা। এদিনের বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এইচপিসিসি ও শেল নামে একটি সংস্থাকে। পাশাপাশি পদ্মা সেতুর মাদারিপুর প্রান্তে থাকা ১৮০ একর জমি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য নর্থ ওয়েস্ট নামে একটি সংস্থাকে লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্তেও এদিন ছাড়পত্র দেওয়া হয়।