নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: প্রথমে যাত্রী সেজে কুষ্টিয়া (Kusthia) থেকে ঢাকাগামী (Dhaka) বাসে উঠে পড়েছিল ডাকাতদল। তার পরেই স্বমূর্তি ধারণ করে অন্যান্য যাত্রীদের কাছ থেকে লুটপাট শুরু করে। শুধু তাই নয় চলন্ত বাসেই এক মহিলা যাত্রীকে গণধর্ষণও করে নরপিশাচরা। শেষ পর্যন্ত মধুপুরের কাছে নেমে যায়। অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ডাকাতি ও ধর্ষণ কাণ্ডের মূলপাণ্ডা রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ফের একবার নৈশকালীন বাসে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়ার বড়াইগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় এক বেসরকারি পরিবহণের বাস। সিরাজগঞ্জের (Sirajgunje) কাছে তিনটি জায়গা থেকে আলাদা-আলাদাভাবে যাত্রীর ছদ্মবেশে ওঠে ডাকাত দল। তার পরেই স্বমূর্তি ধারণ করে বাসের চালককে ছুরি দেখিয়ে গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে নেয় তিন ডাকাত। দলের বাকি সদস্যরা যাত্রীদের কাছ থেকে লুটপাঠ শুরু করে। এক মহিলা যাত্রী প্রতিবাদ জানালে তাঁর হাত-মুখ চোখ বেঁধে ধর্ষণ করে ডাকাত দল। ।
টানা তিন ঘন্টা ধরে লুটপাট ও ধর্ষণ চালানোর পরে বুধবার ভোর রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুরের রক্তিপাড়া জামে মসজিদের উল্টোদিকে থাকা একটি বালির স্তুপে বাসটি তুলে দিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। এর পরেই বাসের যাত্রীরা মধুপুর থানায় ১০-১২ জন অজ্ঞাতপরিচয়ধারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। লোমহর্ষক ঘটনার কথা শুনে হতচকিত হয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। শেষপর্যন্ত যাত্রীদের কাছ থেকে বর্ণনা শুনে ঘটনার মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (Tangail Police Super) সরকার মোহাম্মদ কায়সার (Sarkar Mohammad Kaiser) জানিয়েছেন, ঘটনায় জড়িত বাকি অপরাধীদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান চলছে।