নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: কক্সবাজার ও উখিয়ায় শরনার্থী শিবিরের চাপ কমাতে ফের ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুটি জাহাজে করে আরও ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার শরণার্থীকে নয়া শিবিরে পাঠানো হল।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপরে বেনজির আক্রমণ চালায় মায়ানমার সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণের পাশাপাশি পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘর। প্রতিবাদ জানাতে গেলে সেনা জওয়ানদের নির্বিচারে গুলিতে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন। প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিতে থাকেন রোহিঙ্গারা। তার পর থেকে শরণার্থীদের ঢল নামে। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে সাড়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন।
জায়গার সঙ্কুলান না হওয়ায় নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য নয়া শিবির গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জনকে ভাসানচরে পাঠানো হয়। তার পর থেকে বেশ কয়েক দফায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তরিত করার কাজ চলছে। ভাসানচর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন,
এদিন যে সব রোহিঙ্গা শরণার্থী ভাসানচরে পৌঁছেছেন, তাঁদের প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তার পরে নিয়ে যাওয়া হয় রোহিঙ্গাদের জন্য গড়ে তোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওয়্যার হাউজে। সেখানে তাদের ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়মকানুন জানান নৌবাহিনীর সদস্যরা।