নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: অবশেষে সব জল্পনা, চর্চার অবসান। বিদ্যুৎ বাঁচাতে (Power Save) ও জ্বালানি সাশ্রয়ে আগামিকাল সোমবার থেকেই গোটা দেশে রাত আটটার পরে বন্ধ থাকবে দোকান (Shop), বাজার (Market), শপিং মল (Shoping Mall)। রবিবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে (Labour & Emploment Ministry) এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকের পরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজধানী সহ দেশের নানা প্রান্তে এ বিষয়ে মাইকিং শুরু হয়েছে। যদিও সরকারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের (PMO) পক্ষ থেকে শ্রম ও কর্মসংস্থান (Labour & Employment Ministry) সহ সংশ্লিষ্ট একাধিক মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে রাত আটটার পরে দেশজুড়ে বিভিন্ন দোকান, কাঁচাবাজার, শপিম মল ও মার্কেট বন্ধ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মূলত পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার করুণ পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়েই বির্দ্যু ও জ্বালানি বাঁচাতে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হেঁটেছিল প্রশাসনের শীর্ষ মহল। যদিও ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছিল বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠন। দোকান-বাজার-শপিং মল বন্ধের সময়সীমা এক ঘন্টা পিছিয়ে রাত আটটার পরিবর্তে নয়টা করার দাবি জানানো হয়েছিল। দুই সংগঠনের নেতৃত্বের যুক্তি ছিল, রাত আটটায় দোকান-বাজার বন্ধ হওয়ার ফলে প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন হতে হবে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের। তবে কবে থেকে রাত আটটার পরে দোকান-বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, তা নিয়ে জোর জল্পনাও শুরু হয়েছিল।
এদিন ব্যবসায়ী, শ্রমিক সংগঠনের পাশাপাশি বাণিজ্য, বিদ্যুৎ ও শিল্প মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী (State minister, labour & Employment) মন্নুজান সুফিয়ান (Mannujan Sufiyan)। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, আগামিকাল সোমবার থেকেই রাত আটটার পরে দোকান-বাজার-শপিং মল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।