নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশের নির্বাচন নিয়ে ইদানিং জাপান সহ একাধিক দেশের রাষ্ট্রদূতের অযাচিত মন্তব্যে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রদূতদের একাংশ শিষ্টাচারের লক্ষণরেখা ডিঙোচ্ছেন বলে মনে করছেন তিনি। এ বিষয়ে কড়া অবস্থান নেওয়ার জন্য বিদেশ মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর ওই নির্দেশের পরেই শনিবার বিদেশ মন্ত্রী রাখঢাক না রেখে রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশ কড়া হুঁশিয়ারি ছুড়েছেন। রাখঢাক না রেখে তিনি বলেছেন, ‘বিদেশিদের হস্তক্ষেপে কোনও রাষ্ট্রের মঙ্গল হতে পারে না। বিদেশিরা যে সব দেশে মাতব্বরি করেছে, সেই সব দেশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত কয়েকদিন ধরেই অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা। বিএনপি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাধিক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন একাধিক রাষ্ট্রদূত। এমনকী সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ভোটের আগের রাতে পুলিশের কর্মকর্তারা শাসকদলের হয়ে ব্যালট বাক্স ভরে দিচ্ছেন, এমন কথা বিশ্বের আর কোথাও শুনিনি।’ ওই মন্তব্যে বেজায় চটে যায় শেখ হাসিনা সরকার। বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সতর্ক করে দেন। শিষ্টাচার মেনে চলারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
শনিবার ফরেন সার্ভিস আকাদেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিদেশ মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘কোনও দেশই নিজেদের নির্বাচন কিংবা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ পছন্দ করে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে অযাচিত হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়ার বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা শক্তিশালী তাই করতে পেরেছে। আমাদের সেই শক্তি নেই, তাই করতে পারি না। কিন্তু সময় হলে আমরাও অ্যাকশন নেব।’