নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: প্রেম করে বিয়ে। কিন্তু সেই বিয়ে সুখের হয়নি। নিত্য লেগেছিল পারিবারিক কলহ। গত বৃহস্পতিবার তুঙ্গে উঠেছিল ঝগড়া। আর তার জেরেই স্ত্রীর হাতে খুন হতে হল স্বামীকে। শুধু তাই নয়, সারা রাত ধরে স্বামীর মৃতদেহ আগলে রেখে শুক্রবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ থানায় পৌঁছে স্বামীকে খুনের কথা জানান ঘাতক স্ত্রী। ওই কথা শুনে চমকে গিয়েছিলেন থানার কর্তব্যরত আধিকারিক। শেষ পর্যন্ত সম্বিৎ ফিরে ঘাতক স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চমকে ওঠার মতো ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর শিবপুরে (Narsingdhi)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন শিবপুরের খড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল প্রধান (Mofazzal Pradhan) ও ঝুনু বেগম (Jhunu Begum)। প্রথমে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি ঝুনুর পরিবার। মেয়েকে অন্যত্র বনিয়ে দিয়েছিলেন ঝুনুর বাবা-মা। কিন্তু বিয়ের মাত্র দুদিনের মাথায় সেই স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিক মোফাজ্জলকে বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করেন ঝুনু। দুজনের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই মোফাজ্জল-ঝুনুর সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পারিবারিক কলহ তুঙ্গে ওঠে। স্ত্রীর কাছে টাকা চান মোফাজ্জল। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন ঝুনু। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক সময়ে শাবল দিয়ে স্ত্রীকে মারতে উদ্যত হন মোফাজ্জল। স্বামীর হাত থেকে সেই শাবল কেড়ে নিয়ে পাল্টা আঘাত করেন ঝুনু। উপর্যুপরি আঘাতে মারা যান মোফাজ্জল। স্বামীকে হত্যার পরে সারারাত লাশ পাহারা দিয়ে শুক্রবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ শিবপুর মডেল থানায় (Shibpur Model Police Station) গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন স্ত্রী ঝুনু বেগম।