নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: রোহিঙ্গা শরণার্থী (Rohingya Refugee) নিয়ে ঢাকার (Dhaka) সঙ্গে ইয়াঙ্গুনের (Yangun) ঠাণ্ডা লড়াই কী যুদ্ধের রূপ নিতে চলেছে? পাঁচ দিন আগে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর (Myanmar Army) ছোড়া মর্টার শেল উড়ে এসেছিল বাংলাদেশে। আর শনিবার মায়ানমারের যুদ্ধ বিমান থেকে বাংলাদেশের মাটিতে ফেলা হল বোমা। ওই বোমা বর্ষণের পরেই মায়ানমার সীমান্তে প্রহরারত সেনাবাহিনীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে নযটা নাগাদ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী এলাকায় মায়ানমার বিমানবাহিনীর ২টি যুদ্ধ বিমান এবং ২টি ফাইটার হেলিকপ্টারকে মহড়া দিতে দেখা যায়। আচমকাই যুদ্ধ বিমান থেকে ৮ থেকে ১০টি বোমা ফেলা হয়। এছাড়া হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। কেউ হতাহত না হলেও স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম তারিক জানান, মায়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলার পরেই এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মন থেকে আতঙ্ক দূর করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত রবিবারই মায়ানমার সেনাবাহিনীর (Myanmar Army) ছোড়া দুটি মর্টার শেল (Mortar shell) বান্দরবানের ঘুমধুম এলাকায় এসে পড়ে। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় প্রশাসনের শীর্ষ মহল। ঢাকায় নিযুক্ত মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে (Aung Kiu Moye) তলব করে বিদেশ মন্ত্রক (Foreign Ministry)। মর্টার শেল ছোড়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে যাতে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়।