নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত দুর্গাপুজোর সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুজোমণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। আগামিকাল বুধবার বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হতে পারে। মামলায় দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর ও ফেনীর জেলা প্রশাসক-পুলিশ সুপার সহ ১৯ জনকে পক্ষ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিনে কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ের পুজোমণ্ডপে কোরআন রাখাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক পুজোমণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে। ইসকন মন্দির সহ বিভিন্ন মন্দিরে আক্রমণ চালানো হয়। অবাধে হিন্দুদের বাড়িঘর ও দোকান লুটতরাজের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ ঘটানো হয়। এমন বেনজির আক্রমণের মুখে পড়ে গর্জে ওঠে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়। রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় একাধিক হিন্দু সংগঠন। ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিতেও সোচ্চার হন সংগঠনের নেতারা।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাশের পক্ষ থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়। আবেদনে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ দোষী সরকারি কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে এমন সব পোস্ট ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।