নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: মৌলবাদীদের (Radical) হামলা রুখতে দেশের প্রতিটি দুর্গাপুজোর (Durga Pujo0 মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV Camera) বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদিও ওই সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV Camera) বসানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া পুজো উদ্যোক্তাদের। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি প্রতিটি পুজোমণ্ডপে লাঠিধারী আনসার বাহিনী (Ansar Force) থাকবে। অস্থায়ী পুজোমণ্ডপগুলি বড় রাস্তার উপরে করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার আসন্ন দুর্গাপুজো নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল (Home Minister Asaduzzaman Kamal)।
গত বছর দুর্গাপুজোয় (Durga Pujo) গোটা দেশজুড়েই অশান্তি হয়েছিল। কুমিল্লা (Cumilla), নোয়াখালী (Noakhali) সহ দেশের একাধিক জেলায় পুজোমণ্ডপে হামলা চালিয়েছিল মৌলবাদীরা। হিন্দুদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে দিয়েছিল। আর ওই ঘটনার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে মুখ পুড়েছিল শেখ হাসিনা (Sk Hasina) প্রশাসনের। গত বছরের লজ্জাজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য এ বছর অনেক বেশি সতর্ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (Home Ministry)।
এদিন দুর্গাপুজোর সময়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী-কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ বৈঠক হয়। ওই বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) জানান, ‘পুজোমণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদের চিহ্নিত করার সুবিধার্থে বিশেষ আর্ম ব্যান্ড ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে পুজোমণ্ডপ পাহারার কাজে উপকূল রক্ষী বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। র্যাব ও পুলিশ বাহিনী বিশেষ টহল দেবে।’ মৌলবাদীরা যাতে অশান্তি পাকানোর সুযোগ না পায় তার জন্য নমাজ ও আজান চলাকালীন মাইক ও সাউন্ডের শব্দ নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।’