নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রথমে ধাক্কা। সেই ধাক্কাতেই মৃত্যু। তারপর সেই মৃতদেহকেই ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেল ট্রেন। এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বাংলাদেশের নরসিংদীর রায়পুরায়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বাংলাদেশ রেলের তরফে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেল পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ঢাকা থেকে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি যখন রায়পুরার আমিরগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করছিল, তখন রেললাইন পার হচ্ছিলেন আবদুল বারিক নামে এক ব্যক্তি। আবদুল দোকানে যাচ্ছিলেন। সেইসময় ট্রেন এসে ধাক্কা মারে আবদুলকে। আবদুলের দেহ ইঞ্জিনের হুকের সঙ্গে আটকে যায়। প্রথমে ট্রেনে থাকা কর্মীরা বিষয়টি বুঝতে পারেনি। এরপর যখন ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনের কাছাকাছি চলে যায়, তখন বিষয়টি সকলের নজরে আসে। এরপর ভৈরব স্টেশনে ট্রেনটিকে থামানো হয়। রেলপুলিশ আবদুলের দেহকে উদ্ধার করে।
এরপর মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানতে পারা যায়। জানা গিয়েছে, মৃত আবদুল বারিক রায়পুরার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা। হাসনাবাদ বাজারে পানের দোকান ছিল আবদুলের। খবর পেয়ে আবদুলের বাবা ইমরান থানায় যান। সেখানেই ছেলের দেহকে শনাক্ত করেন। ইতিমধ্যে রেল পুলিশের তরফে এসআই কার্তিক চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, অসতর্কতাবশত রেললাইন পার করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আবদুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।