নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ জামায়েতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলে মিলবে ২০ লাখ টাকা। একজনের সন্ধান দিলে মিলবে ১০ লাখ টাকা। আজ রবিবার জরুরি সাংবাদিক সম্মেলনে এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল। পাশাপাশি তিনি জানান, পলাতক দুই জঙ্গি যাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারেন তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানো শুরু হয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে বাইরে যাওয়ার বিভিন্ন বহির্গমন পয়েন্টে নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে।
এদিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ আদালত চত্বর থেকেই পুলিশের চোখে স্প্রে ছিটিয়ে জেএমবির দুই কুখ্যাত জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় চার জন। পলাতক দুই জঙ্গির একজন ব্লগার অভিজিত রায়ের খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি। আর অন্যজন জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। দুই কুখ্যাত জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। জরুরি সাংবাদিক সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘জঙ্গি পালানোর ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পালানোর ঘটনায় যদি কারও গাফিলতি থাকে তাহলে তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে।’
অন্যদিকে, আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি পালানোর ঘটনার পরেই দেশের নিম্ন আদালতগুলির নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর সেই নির্দেশের পরেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে দেশের আদালতগুলিকে। নিখোঁজ জঙ্গিদের খোঁজ পেতে পুরস্কার ঘোষণার পাশাপাশি ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।