নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: চার দিনের সফরে সোমবার দুপুরে দিল্লি (Delhi) পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Prime Minister SK. Hasina)। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল বিদেশ মন্ত্রী (Foreign Minister) এ কে আবদুল মোমেনের ( A K Abdul Momen)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) সফরসঙ্গীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। আর বিদেশ মন্ত্রীর বাদ পড়া নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণেই বিদেশ মন্ত্রী দিল্লি যাননি বলে দাবি করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। কিন্তু সেই যুক্তি মানতে নারাজ বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশেই দিল্লি সফরে শেখ হাসিনার (Sk. Hasina) সঙ্গী হননি বিদেশ মন্ত্রী।
ভারত-বাংলাদেশের (India-Bangladesh) মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার চলতি দিল্লি সফর নয়া দিশা দেখাবে বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদদের একাংশ। প্রধানমন্ত্রীর চলতি সফরে মুখরক্ষায় যাতে অন্তত সাতটি চুক্তি যাতে স্বাক্ষরিত হয় তার জন্য গত কয়েক মাস ধরে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ফলে ওই চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ে তিনি ভারতের রাজধানীতে উপস্থিত থাকবেন বলেই ধরে নিয়েছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের তালিকায় তাঁর নামও ছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে সেই তালিকা বদল করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে বিদেশ মন্ত্রী যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তাতে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বিদেশ মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিঁকিয়ে রাখতে হবে।’ ওই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে শাসকদল আওয়ামী লীগকে ভারত বান্ধব আখ্যা দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে বিএনপি সহ বিরোধীরাও। নয়াদিল্লিতে গিয়ে যাতে ফের কোনও বেফাঁস মন্তব্য করে সরকারকে বিপদে ফেলতে না পারেন তার জন্যই বিদেশ মন্ত্রীকে সঙ্গে নেননি শেখ হাসিনা।