নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশের পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ সহ র্যাবের প্রাক্তন ও বর্তমান ছয় শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি পাঠালেন বিদেশ মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। রবিবার সকালে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে দেশের অন্যতম এলিট ফোর্স র্যাব কিভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন তিনি। বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে র্যাবের ছয় আধিকারিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা যে প্রতিবন্দকতা তৈরি করতে পারে, সে কথাও জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী। সূত্রের খবর, মার্কিন বিদেশ মন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানোর পরে বাইডেন প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় তার জন্য বেশ কয়েকদিন অপেক্ষা করা হবে। ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ না নিলে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সঙ্ঘাতের রাস্তায় হাঁটা হবে।
গত ১০ ডিসেম্বর আন্তজাতিক মানবাধিকার দিবসে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবের প্রাক্তন ও বর্তমান ছয় আধিকারিকের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন রাজস্ব দফতর। ওই নিষেধাজ্ঞা জারিতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরেরদিনই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জরুরি তলব করে প্রতিবাদ জানান বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বাংলাদেশ সরকার যে ওই নিষেধাজ্ঞা ভাল চোখে দেখছে না, তা জানিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের শীর্ষ মহলের কঠোর মনোভাব জানার পরেই বিদেশ মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে ফোন করেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে যাতে কোনও চিড় না ধরে সে দিকে নজর রাখার অনুরোধ জানান। সম্প্রতি ওই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলে মার্কিন প্রশাসনকে বিঁধেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেছিলেন, ‘যাঁরা খুনিদের আশ্রয় দেয়, তারা আবার মানবাধিকারের, গণতন্ত্রের বুলি আওড়ায়।’