নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: নিজের স্বোপার্জিত অর্থেই মানুষের সেবা করেন তিনি। নিজের অর্থে এলাকায় একাধিক রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সেতুও নির্মাণ করেছেন। ফলে তরুণ ও যুব প্রজন্মের ভোটারদের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠেছেন তরুণ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাসকদল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত) আসনে। নির্দল হয়ে দাঁড়ালেও নিজেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অনুসারী হিসাবে মনে করেন। আর নিজের ‘আদর্শ নেতার’ ছবি নির্বাচনী পোস্টারে ব্যবহার করেই বিপাকে পরেছেন জনপ্রিয় তরুণ নেতা। আদশ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাঁকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ মঙ্গলবারের মধ্যেই শোকজের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। কিন্তু তাঁকে যথেষ্ট বেগ দিচ্ছেন নির্দল হয়ে লড়া এলাকার জনপ্রিয় যুব নেতা সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরিচ্ছন্ন ও সৎ ভাবমূর্তির পাশাপাশি পরোপকারী হিসাবে এলাকার অধিকাংশ মানুষের কাছেই যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তাঁর। ভোট প্রচারেও সাড়া ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু তরুণ যুব নেতাকে কীভাবে বিপাকে ফেলা যায়, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতারা। আর পোস্টারে বঙ্গবন্ধু ছবি ব্যবহারের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ ঠুকেছেন তাঁরা। সেই নালিশের পরিপ্রেক্ষিতেই সুমনকে শোকজ করেছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল।
যদিও কমিশনের শোকজ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন হবিগঞ্জ-৪ আসনের নির্দল প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তাঁর কথায়, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি পোস্টারে কেন ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হারবেন বুঝতে পেরেই নানা অছিলায় আমাকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না।’