নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের এক নেতার বিরুদ্ধে খবর করে খুন হয়ে গেলেন সাংবাদিক। নিহত সাংবাদিকের নাম গোলাম রাব্বানী নাদিম। তিনি বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোলাম রাব্বানী নাদিম নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার অফিসের কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম ও তার সহকর্মী আল মুজাহিদ বাবু। বকশিগঞ্জ পাথাটিয়ার কাছে রাতেই তাঁদের পথ আটকায় ১০ থেকে ১২ জনের দুষ্কৃতীদের একটি দল। এরপর আচমকা নাদিমের উপর হামলা চালায় আততায়ীরা। অভিযোগ, বাইক থেকে নামিয়ে মারধর করতে করতে টেনেহিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যায় তাঁকে। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথাড়ি আঘাত করে বন্দুকধারী আততায়ীরা। ওই সাংবাদিকের সঙ্গী মুজাহিদ আটকাতে গেলে তাকেও দুষ্কৃতীরা মারধর করে বলে অভিযোগ।
নাদিমের সঙ্গী মুজাহিদ বলেন, ‘সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর অপকর্ম নিয়ে নাদিমসহ আমরা কয়েকজন নিউজ করেছিলাম, তারপর থেকেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন আমাদের ওপর। পরে আমাদের নামে ডিজিটাল আইনে মামলাও করেন তিনি। সেই মামলা গতকাল ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইব্যুনাল খারিজ করে দিয়েছেন। এ নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছিল। এর দুই তিন ঘণ্টা পর রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে নাদিমের ওপর হামলা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নাদিমকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর তাকে মারতে মারতে পাশের একটি অন্ধকার গলিতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন চেয়ারম্যান মাহমুদ আলম বাবুর লোকজন। ঘটনার সময় ওই গলিতে অন্ধকারে আড়ালে দাঁড়িয়েছিলেন চেয়ারম্যান মাহমুদ আলম বাবু। সেসময় তার ছেলে ফয়সাল, রিফাত, রেজাউল, মনির, সাইদসহ আরও কয়েকজন ছিলেন। মারধরের সময় আমি আটকাতে গেলে আমাকেও তারা মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী চলে যায়। পরে নাদিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার পৌনে ৩টে নাগাদ মৃত্যু হয় নাদিমের।