নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সামনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর ওই ভোট ঘিরে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক আঙিনায় পারদ চড়ছে শুরু করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তৎপর হয়ে উঠেছে। তবে সাজা ভোগ করায় এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে পারছেন না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তাঁর পুত্র তারেক রহমান। রবিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ফের একবার জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তাঁর ছেলের ভোটে লড়াইয়ের কোনও সুযোগই নেই।
রাজধানী ঢাকায় ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইন মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ায় তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ফলে তাঁর বিদেশে যাওয়ার প্রশ্ন নেই। তিনি সুস্থ হলে ফের জেলে যেতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী, দুই বছর কিংবা তার বেশি সাজাপ্রাপ্ত হন তাহলে তাঁর ভোটে লড়াইয়ের সুযোগ থাকে না। খালেদা জিয়া সাজা খাটছেন। আর তাঁর ছেলে তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। ফলে দুজনের কারও ভোটে লড়ার অধিকার থাকছে না।’
দীর্ঘ ১০ বছর বাদে ফের সক্রিয় হয়েছে উগ্র মৌলবাদী দল জামায়েত ইসলামি। শনিবারই রাজধানী ঢাকায় প্রকাশ্য সমাবেশ করেছে দলটি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সরকার কীভাবে জামায়েত ইসলামির মতো দলকে ফের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর সুযোগ দিলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে এদিন আইনমন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সভা-সমাবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে। কী বিবেচনা করে জামায়েত ইসলামিকে সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আধিকারিকরাই ভালো বলতে পারবেন।