নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন শতাধিক যাত্রী। স্টেশন মাস্টারের ভুল সিগন্যালের কারণে আন্তনগর ধুমকেতু এক্সেপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস একই লাইনে ঢুকে পড়ে। দুই ট্রেনের চালকের তৎপরতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।
দুই ট্রেনের যাত্রী এবং স্টেশন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত একটা নাগাদ (স্থানীয় সময়) ঢাকা-পঞ্চগড়গামী আন্তনগর দ্রতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি বড়ালব্রীজ স্টেশন সংলগ্ন ২২ নম্বর রেলসেতু সবে পেরিয়েছে। সেই সময় একই লাইনে উল্টোদিক থেকে আসছিল রাজশাহী-ঢাকাগামী আন্তনগর ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ঢাকা-পঞ্চগড়গামী দ্রুতযানের চালক লক্ষ্য করেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেন। অন্যদিকে, রাজশাহী-ঢাকাগামী আন্তনগর ধুমকেতু এক্সপ্রেসের চালকও দেখেন উল্টোদিকে একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেন। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন।
পরে রাজশাহী-ঢাকাগামী আন্তনগর ধুমকেতু ট্রেনটি ভাঙ্গুরা স্টেশনে ফিরে গিয়ে এক নম্বর লুপ লাইন গিয়ে ওঠে। উল্টোদিকে দাঁডিয়ে থাকা দ্রুতযান ট্রেনটি বেরিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, স্টেশন মাস্টারের ভুলেই এই কাণ্ড। দুই ট্রেনের চালক তৎপর না হলেও বহু মানুষের মৃত্যু অবধারিত ছিল। ভাঙ্গুরা স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান জানান, টেকনিক্যাল কারণে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিগল্যান ব্যবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। মিনিট কুডি বাদে অবশ্য কম্পিউটার চালু হওয়ায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যায়।