নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ৪৬ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট কালরাত্রিতে ঘাতকদের বুলেট ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল তাঁর প্রিয়জনদের। একাধিকবার সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ভাগ্যের জোরে বেঁচে ফিরেছিলেন তিনি। এখনও যে শত্রুরা তাঁকে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার জন্য ওৎ পেতে রয়েছে, তা ভালই জানেন তিনি। রবিবার সেই শত্রুদের উদ্দেশে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হুঙ্কার ছেড়ে বলেছেন, ‘স্বাধীনচেতা হলে অনেক বাধা আসে। চলার পথ যত অন্ধকারাচ্ছন্ন হোক না কেন, থেমে থাকব না। যত রক্তক্ষরণ হোক, পদদলিত করে এগিয়ে যাব। আমি জানি, অনেক বোমা-গুলি, গ্রেনেড আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। আমি পরোয়া করি না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবই।’
দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরে কিভাবে দেশ সব প্রতিবন্ধকতাকে উড়িয়ে দিয়ে অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলেছে তা তুলে ধরতে গিয়ে বঙ্গবনধু কন্যা বলেন, ‘এমডিজি বাস্তবায়ন করেছি। এইচডিজি বাস্তবায়ন করে চলছি। আমাদের লক্ষ্য, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। সেই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি। আমার গ্রাম আমার শহর কার্যক্রম, ডিজিটাল বাংলাদেশ, গ্রামে বসে প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারছে মানুষ।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন, সেই স্বপ্নপূরণে তিনি কোনও বাধাই যে মানবেন না তাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করতে চেয়েছেন। উন্নত জীবন দিতে চেয়েছেন। আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’