নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: জ্বালানি সঙ্কট আর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বেলাগাম দাম বৃদ্ধিতে কার্যত নাভিঃশ্বাস উঠেছে দেশের সাধারণ মানুষের। চাহিদার সঙ্গে জোগানের ভারসাম্য রুখতে ভারত থেকে আমদানি করলেও কাঁচা লঙ্কার দামে রাশ টানা যাচ্ছে না। শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বাজারে ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে কাঁচা লঙ্কার দাম। সেই সঙ্গে ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৪৫ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। সেই সঙ্গে মিনিকেট চালের দামও এক লাফে বেড়ে পৌঁছেছে ৭২ টাকায়। বিক্রেতাদের দাবি, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেড়েছে। তবে ক্রেতাদের মতে, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দিয়ে কালোবাজারি চালাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
কোরবানি ঈদের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়লেও মাঝে কমেছিল। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। কাঁচা লঙ্কা, ডিমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের হাতে ছ্যাঁকা লাগছে। চাল, ডাল, তেল, আদা, রসুন, পেঁয়াজের দামও লাগাতার বেড়ে চলেছে। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে কাঁচা লঙ্কার কিলো ছিল ২৪০ টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা। ডিমের ডজন ছিল ১২৫ টাকা। এক লাফে বেড়ে হয়েছে ১৪৫ টাকা। মোটা জাতের স্বর্ণ চালের কিলো আগে যেখানে ছিল ৪৬ টাকা। সাত দিনে বাড়তে-বাড়তে তা ৫০ টাকায় পৌঁছেছে।
রাজধানীর কাওরানবাজারের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমানের বক্তব্য, জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে। আগে যেখানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় ১০ টনের লরির ভাড়া ছিল ২৪ হাজার টাকা। এখন সেই ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার টাকা। ফলে ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই।