নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: অবশেষে দীর্ঘ দুই বছর বাদে করোনার বিধি নিষেধ কাটিয়ে আজ বুধবার পয়লা ফেব্রুয়ারিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে পর্দা উঠল অমর একুশে বইমেলার। গত কয়েক বছরে বইমেলায় বার বার মৌলবাদীদের হামলার শিকার হয়েছেন মুক্তমনা লেখক-ব্লগাররা। কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ, অভিজিৎ রায়দের উপরে চলেছিল প্রাণঘাতী হামলা। চলতি বছরের বইমেলায় ওই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্থ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
বাংলা আকাদেমি প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে শুরু হওয়া মেলায় সর্বক্ষণের জন্য সিসিটিভির নজরদারি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার থেকেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। মেলায় সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, সিটিটিসি, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মেলা শুরুর আগে পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। মূল মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের আগে প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিংয়ের ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রবেশ ও বহির্গমনের জন্য আলাদা গেটের বন্দোবস্থ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে মেলায় যাতে উস্কানিমূলক বইপত্র বিক্রি না হয় তার জন্য সাইবার মনিটরিংও চালাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ। যানজট এড়াতে ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর সড়কে সব ধরনের যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। । ব্লগার-লেখকরা নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে সহায়তা চাইলে তাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।