নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ২৮ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পরেই দুঃসময়ের শুরু ফুলজান বানুর। বয়সের ভারে ন্যুব্জ সত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধা প্রতিনিয়ত লাঞ্ছনা আর গঞ্জনাকে সঙ্গী করে দুই ছেলের সংসারে থাকতেন। কিন্তু দুই মাস আগে বাড়ির পাশে একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। দুই ছেলে পুলিশ ও পড়শিদের জানান, তাঁদের মা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সে কথা বিশ্বাসও করেছিল পুলিশ ও পড়শিরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
সম্প্রতি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, আত্মহত্যা করেননি ফুলজান বানু। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। আর সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পুলিশ খুনীদের ধরতে ঝাঁপায়। গ্রেফতার করা হয় হাবিবুর রহমান সিকদার নামে এক ছেলেকে। পুলিশি জেরার মুখে গুণধর ছেলে স্বীকার করেছে, ‘সম্পত্তি লিখে না দেওয়াতেই দুই ভাই মিলে মাকে খুন করেছে।’ ধৃত হাবিবুরকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যদিও মাকে খুনের ঘটনায় জড়িত অন্য ছেলে সেলিম সিকদার পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ২৫ নভেম্বর জাজিরার বাসিন্দা ফুলজান বানুর নিথর দেহ বাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তখন দুই ছেলে দাবি করেন, তাদের মা আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ মরদেহের ময়নাতদন্তের পর ভিসেরা রিপোর্টের জন্য ঢাকায় পাঠায়। ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টে বলা হয়, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে সত্তর বছর বয়সী ফুলজানকে। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলাকে খুনের মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে। গ্রেফতার করা হয় নিহত বৃদ্ধার গুণধর ছেলেকে।