নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: জনরোষের ভয়। তাই শীতলকুচি বিধানসভার জোরপাটক গ্রামের ১২৬ নম্বর বুথে এবার ভোট পাহারায় সিআইএসএফ জওয়ানদের মোতায়েন করছে না নির্বাচন কমিশন। পরিবর্তে ওই বুথে বিএসএফ, সিআরপিএফ কিংবা ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের জওয়ানদের মোতায়েন করা হচ্ছে। বুধবার কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিআইএসএফের জওয়ানদের দেখলে গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হতে পারেন এমন আশঙ্কা রয়েছে। তাই জোরপাটক গ্রামের ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের নিয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ১০ এপ্রিল ভোটের দিন শীতলখুচির জোরপাটক গ্রামের ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে গুলি চলার ঘটনা ঘটেছিল। কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনীর (সিআইএসএফ) বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ভোটের লাইনে দাঁড়ানো চার ভোটার। ওই ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, বিজেপির ইন্ধনেই গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ জওয়ানরা। গুলি চালানোর ঘটনাকে পরোক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা। সম্প্রতি কোচবিহারে লোকসভার ভোট প্রচারে গিয়ে ওই গুলি চালানোর ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপি তথা কেন্দ্রের মোদি সরকারকে নিশানা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, গত বিধানসভা ভোটের সময়ে যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল তার পুনরাবৃত্তি হলে বরদাস্ত করা হবে না।
বিধানসভা ভোটের সময়ে ঘটা অনভিপ্রেত ঘটনা মাথায় রেখেই শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে সিআইএসএফ জওয়ানদের মোতায়েন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গোটা কোচবিহারজুড়ে ভোটের দিন বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হবে।