নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কথায় বলে, ‘গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল।’ তেমনই দশা নরেন্দ্র মোদির। দেশের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে থাকার কারণে তিনিই যে সব বিষয়ে শেষ কথা বলবেন, তা কোচবিহারের সভা থেকে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন। সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই অভিযুক্তদের কী সাজা হবে, তার রায় ঘোষণা করে দিলেন। হুঙ্কার ছুড়ে দেশের ‘উজির ই- আজম’ জানিয়ে দিয়েছেন, সন্দেশখালিকাণ্ডে দোষীদের সারাজীবন জেলে কাটাতে হবে। আর মোদির ওই রায় ঘোষণার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করার এক্তিয়ার তাঁকে কে দিল? আগেভাগে নিজের রায় জানিয়ে পরোক্ষে কী বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালালেন?
বৃহস্পতিবার কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক ও মনোজ টিগ্গার সমর্থনে রাসমেলা ময়দানে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যা ঘটেছে, তা গোটা দেশের মাথা হেঁট করে দিয়েছে। সন্দেশখালিতে মা-বোনদের উপরে নির্যাতনের জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকার। অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু সন্দেশখালির অপরাধীরা রেহাই পাবে না। সারা জীবন জেলে কাটাতে হবে।’
লোকসভা ভোটের মুখেই মতুয়া সম্প্রদায়ের হাতে খুশ রাখতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করেছে কেন্দ্র। এদিন সিএএ চালুর কৃতিত্ব নিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূল-বামেরা আপনাদের ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু জেনে রাখুন, বিজেপি সরকার সিএএ নিয়ে এসেছে প্রতি পরিবারকে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। কারও নাগরিকত্ব যাবে না। এটা মোদির গ্যারান্টি।‘ মহিলাদের ভোট পেয়ে বাজিমাত করতে লক্ষপতি হওয়ার স্বপ্নও ফেরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, ‘তিন কোটি মহিলাকে লাখপতি বানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’