এই মুহূর্তে




দাঁত দিয়ে জিভ কামড়ে ধরে আছেন দেবী, জানেন কী কেন লোলজিহ্বা মা কালীর?

নিজস্ব প্রতিনিধি : সর্বপ্রাণীকে ‘কলন’ অর্থাৎ গ্রাস করেন করেন যিনি তিনি হলেন ‘মহাকাল’। আর সেই মহাকালকেই গ্রাস করেন যে আদ্যাশক্তি তা হল ‘কালিকা’। কালকে কলন করেই তিনি কালী। তিনি অশুভ শক্তিনাশ করেছেন। গলায় তার প্রতীক হিসেবে পরেছেন দানবমুণ্ডমালা। বলা হয় শিব ছাড়া যেমন শক্তি অসম্পূর্ণ,তেমনই শক্তি (কালী)ছাড়া মহাকাল অস্তিত্বহীন। শিব হল সত্য বা বাস্তব আর তাঁর শক্তি হল স্বয়ং কালী। দেবী কালি হলেন দশমহাবিদ্যার প্রথম দেবী। শাক্তমতে কালী বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ। বলা হয় দেবী কালী হলেন স্বয়ং মহাদেবেরই ক্রোধের বহি:প্রকাশ।

দেবী কালীর সারা শরীর নীল বা কৃষ্ষ বর্ণের, তাঁর রক্তবর্ণ চোখ, ক্রুদ্ধ চেহারা, ত্রিনয়নী, মুক্তকেশী, চারটি হাত এবং গলায় মুণ্ডমালা। বাম দিকের দুই হাতে নরমুণ্ড এবং খড়গ। মা কালীর জিভ সর্বদা বাইরে। আপনি কী জানেন  কালীমূর্তির লোলজিহ্বা কেন ?  তবে জেনে নিন এই লোলজিহ্বা কিসের প্রতীক।

লোলজিহ্বার সঙ্গে লজ্জার প্রসঙ্গই জড়িয়ে রয়েছে। বাংলায় যে প্রচলিত কালীমূর্তি দেখা যায়, তাতে দেখা যায় দেবীর পদতলে মহাদেব সটান হয়ে শুয়ে আছে। আর স্বামী শিবের বুকের উপর পা রেখে দাঁড়িয়ে আছে দেবী কালী। তবে স্বামীর বুকে অজান্তে পা রেখে লজ্জায় জিভ বের করে আছেন কালী। এই নিয়ে প্রচলিত ধারণা আছে যে, দেবীকে শান্ত করতে এমনটা করেছিলেন মহাকাল।

ভয়ংকর ক্রোধে উন্মত্ত দেবী কিছুতেই শান্ত হচ্ছেন না। তাঁর আরও রক্ত চাই। এদিকে আর কোন দানব-অসুরও জীবিত নেই। একে একে ভয়ংকর অসুরদের সংহার করেও শান্ত হন নি দেবী। এমন অবস্থা হয় যে হাতের সামনে যাকে পাবেন তাকেই সংহার করবেন দেবী কালী। উপায় বেগতিক দেখে তখন স্বয়ং মহেশ্বর দেবীর পথ রোধ করে দাঁড়ান। কিন্তু আদ্যাশক্তির সেই রূপ এতটাই ভয়ংকর যে সকল দেবতাগণ পিছিয়ে আসতে বাধ্য হন। কিন্তু শিব সহধর্মিণীকে শান্ত করতে রক্তের তেষ্টায় ক্ষিপ্ত দেবীর সামনে শুয়ে পড়লেন। খেয়াল না করে তাঁর উপর পা রাখলেন দেবী কালী। ব্যস, একটা মাত্র পা রেখেই থেমে গেলেন। লজ্জায় জিভ কেটে ফেললেন, এটা ভেবে যে তিনি তাঁর স্বামীর বুকেই পা দেওয়ার মত ভুল করে ফেলেছেন। আর যখনই দেবী কালী সংযত হতেন, কিংবা লজ্জা পেতেন তখনই তাঁর মনে আবেগ আসতো, তখনই তিনি ক্রোধ ত্যাগ করে শান্ত হতেন। নিজের শান্ত রূপ ফিরে পেতেন।

 এই লোলজ্বিহা কীসের প্রতীক : দেবীর জিভের রং হল টকটকে লাল। এখানে লাল রং রজো গুণের প্রতীক আর সাদা সত্ত্ব গুণের। দাঁতের দ্বারা জিহ্বা স্থির রেখে বলতে চাওয়া হয়েছে ত্যাগের দ্বারা ভোগকে জয় করা। অর্থাৎ সংযত হওয়া না নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা।

আরও পড়ুন :জানেন কী মা কালীর পদতলে ভোলানাথ কেন শুয়ে থাকেন ?

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দার্জিলিংয়ে হিমালয়ান রেলে চড়িয়ে মা দুর্গাকে রংবুলের বাংলো নদীতে নিরঞ্জন

দুর্গাপুজোয় ৫দিনে আইন ভাঙার অপরাধে শহরে গ্রেফতার ৩৪৮ জন

পলাশচাবড়ী সর্বজনীনের থিম ‘ধামসা মাদলের দেশে মা আপন বেশে’

ফেলে দেওয়া ওষুধ দিয়ে তৈরি হয়েছে দুর্গা প্রতিমা, নজর কাড়ছে সকলের

অষ্টমীর সন্ধ্যায় জনসুনামিতে মধ্য ও উত্তরকে টেক্কা দিল দক্ষিণ কলকাতা

ত্রিধারায় পুজো প্রাঙ্গনের থিমে অঘোরী নৃত্য বন্ধ করে দিল কলকাতা পুলিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ