নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায় রঘু ডাকাতের (RAGHU DAKAT) গল্প অতি পরিচিত। আর ডাকাত মানেই মা কালীর (KALI) ভক্ত। রঘু’র নাম যেমন ছিল ডাকাত হিসেবে, তেমনই তিনি ছিলেন কালীভক্ত হিসেবে পরিচিত। তবে রঘু নামে মনে হয় একজন ডাকাত ছিলেন না। বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক রঘু ডাকাত ও তাঁর তৈরি মন্দিরের কথা। এই রঘু ডাকাতের সঙ্গে কোথাও মিলে যায় রবিন হুডের কথা। তিনি গবীরদের লুঠপাট করতেন না। ধনীদের লুঠ করে গরীবদের সাহায্য করতেন।
কোন রঘু ডাকাত জানা নেই, তবে এই রঘু ডাকাত কলকাতার। উত্তর কলকাতায় তিনি না কি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চিত্তশ্বরী সর্ব মঙ্গলা কালী মন্দির। তিনি নিজেই আরাধনা করতেন দেবীর। দেবী কালিকার পুজো প্রাচীন রীতি মেনে আজও হয় শাক্ত মতে। রঘু ডাকাত শাক্ত মতেই দেবীর আরাধনা করতেন। যদিও তিনি নিজে ছিলেন বৈষ্ণব! রঘু ডাকাতের কালীর সেই মন্দিরের ঠিকানা কাশীপুর খগেন চ্যাটার্জি রোডে। শোনা যায়, ভাগীরথী নদী দিয়ে নৌকায় করে যাওয়ার সময় এই দেবীকে গান শুনিয়েছিলেন সাধক রামপ্রসাদ।
জনশ্রুতি, একদিন একটি জলা জায়গা পেরোতে গিয়ে রঘু ডাকাত দু’টি পাথরের মূর্তি পড়ে থাকতে দেখতে পেয়েছিলেন। তারপরে ওই জায়গা পেরিয়ে সর্দার ফিরে এসেছিলেন ডাকাত ডেরায়। ওই রাতেই না কি তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন দেবীর। আদেশ ছিল, জলা জায়গা থেকে নিয়ে আসতে হবে মহাদেব ও কালী বিগ্রহ। আর তা প্রতিষ্ঠা করে পুজো করতে হবে। শুধু তাই নয়, ছেড়ে দিতে হবে ডাকাতি-ও। সেই স্বপ্নাদেশ পালন করেছিলেন রঘু।
তবে সেই মন্দির জরাজীর্ণ বলে দেবীর আরাধনা করা হয় নতুন মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। নয়া এই মন্দির চিৎপুরের কাশীপুর গান অ্যান্ড সেল ফ্যাক্টরি রোডে। শোনা যায়, দেবীর সেবায় নিয়োজিত ব্রাহ্মণ স্বপ্নাদেশ পেয়েই নতুন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।