নিজস্ব প্রতিনিধি : বাঙালিয়ানার সঙ্গে এক্কেবারে খাপ খাওয়ানো একটি অন্যতম লোভনীয় রেসিপি হল এই পান্তা। অবশ্য এই পান্তা ভাতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গ্রামবাংলার আবেগ। চাষিরা ভোরবেলায় ক্ষেতে যাবার আগে তাঁদের একমাত্র সঙ্গী পান্তা, সাথে গোটাকয়েক লঙ্কা ডলে,কাঁচা পেঁয়াজ ব্যাস সোনাই সোহাগা। দুপুরে পান্তা খেয়ে গাছের নীচে ঘুম যেন গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। তবে এই পান্তা ভাতকে অবহেলা নয়, বরং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে দারুণ কাজে আসে।ওড়িশায় একে বলে পোখাল ভাত। গ্রামের মানুষেরা দেখবেন দুপুরে কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে তেল লঙ্কা আলু সেদ্ধ বানিয়ে পান্তা ভাত খান। এই খাবার স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।
আলু ভর্তা / আলু ভাজা : পান্তার সঙ্গে আলুর যে কোনও পদ খুব ভাল যায়। সর্ষের তেল ঢেলে শুকনো লঙ্কা, কাঁচা লঙ্কা আর পেঁয়াজ,লেবু দিয়ে পান্তা একেবারে জমে যায়।
কাঁচা ছোলা মাখা : কাঁচা ছোলা এর সাথে টমেটো কুচি আর লেবু দিলেই তৈরি অসাধারণ এই রেসিপিটি।
ছাতু মাখা/ টমোটো ভর্তা : ছোলার ছাতু ও কাঁচা টমেটো অথবা টমেটো পুড়িয়ে লঙ্কা পোড়া দিয়ে পান্তার সঙ্গে চেখে দেখলেই অমৃত।
মাছ ভাজা : অনেকে পান্তার সঙ্গে মাছ ভাজা খেতে পছন্দ করেন।তবে এক্ষেত্রে ছোট মাছ বা যেটাকে কুচোনো মাছও খাওয়া যেতে পারে।
লেবু-লঙ্কা-পেঁয়াজ : পান্তার সঙ্গে লেবু,লঙ্কা আর পেঁয়াজ থাকলে আর কিছু প্রয়োজন হয় না। তবে এতে অনেকে আচার সহযোগে খান।
টোকো’ স্বাদের করতে চান যাঁরা, তাঁরা গরম ভাতেই জল ঢেলে দেন আলাদা করে তুলে তাতে একটু নুন মিশিয়ে দেন। সামান্য গরম ফ্যান মিশিয়ে দিলে পরদিন ভাত টকে যাবে। আবার ঠান্ডা ভাতেও পান্তা করা যায়। অনেকে লঙ্কা পোড়ার সঙ্গে শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে পান্তা মেখে লাল করে ফেলেন।এরপর চটকে চটকে উপভোগ করেন।