নিজস্ব প্রতিনিধি: জোর কাউন্ট ডাউন শুরু। আর মাত্র কটা দিনের অপেক্ষা। এরপরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। পুজো চলে আসা মানেই অনেক রকম পরিকল্পনা সেরে ফেলা। ঠাকুর দেখা, বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে হাত ধরে ঘোরা, খাওয়া-দাওয়া আরও কত কি। তবে পুজো পুজো মানেই ডায়েট ভুলে খাওয়া। পুজোর সময় রাস্তায় রাস্তায় ঘোরা, আর রেস্তোরাঁ গুলি মেরে রাস্তাতেই পেট পুজো সেরে ফেলা। জেনে নিন, ঠিক কি কি খাবার সহজেই পেতে পারেন রাস্তা-ঘাটে।
রোল: সস্তায় পুষ্টিকর বলতে এগরোল একেবারে চমৎকার উদাহরণ। ডিম আর পরোটা সহযোগে তৈরি এগরোল খেলে পেটের অনেকটা ভরে যায়, আর ঠাকুর দেখার আরো অনেকটা এনার্জি পেয়ে যায় আমরা। তাই পুজোতে এই এগরোলের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। শুধু ৩০ টাকা খরচ করলেই পেয়ে যাবেন এগরোল। তবে শুধু এগরোলই নয় এছাড়াও আছে মটন রোল, চিকেন রোল, পনির রোল, কিমা রোল, কাবাব রোল। পছন্দ মতো একটা রোল বেছে নিতেই পারেন।
ফুচকা: ফুচকা খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ হাতে গোনা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ফুচকা পছন্দের। সারা বছরই ফুচকার একটা চাহিদা থাকেই। আর পুজোতে এর চাহিদাটা যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়। পুজোর সময় রাস্তার পাশে সারি সারি ফুচকার গাড়ি দাড়িয়ে থাকতে দেখে জিভে জল আসতে বাধ্য? তাই পুজোর সময়ও খাবারের লিস্টে রাখতেই হবে ফুচকা।
চাউমিন: সারা বছরই আমরা কম বেশি এগ অথবা চিকেন অথবা এগ-চিকেন চাউমিন খাওয়ার জন্যে ছোটোখাটো রাস্তার পাশে ফার্স্ট ফুডের দোকান গুলিতে হানা দিয়ে থাকি। তাই পুজোর সময় যখন খুব খিদে পেয়েছে সেই সময় চাউমিন খাওয়া যেতেই পারে। এগরোল যদি পছন্দ না থাকে তাহলে চাউমিন খেতেই পারেন। চাউমিনও বেশ পেট ভরায়। মোটামুটি ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত চাউমিন পেয়ে যাবেন।
মোমো: এখন বাজারে মোমোর খুব চাহিদা। রাস্তার ছোট দোকান থেকে শুরু করে বড় দোকান সব জায়গাতেই কম বেশি মোমো পাওয়া যায়। যদি আপনি স্বাস্থ্য সচেতন হন তাহলে পুজোর সময় বেছে নিতেই পারেন মোমো। মোমোতে তেল মশলা তেমন না থাকায় এটি শরীরের পক্ষে তেমন ক্ষতিকর নয়। তাই পুজোতে বেরিয়ে খেয়ে নিতেই পারেন গরম গরম মোমো।
পাপড়ি চাট: যদি চটপটা কিছু পছন্দ করেন, সেক্ষেত্রে পাপড়ি চাটও বেশ ভাল খাবার উপকরণ। টক, ঝাল, মিষ্টি সব স্বাদ এক সঙ্গে পেতে পুজোর খাবারের লিস্টে রাখুন পাপড়ি চাট। ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন এই পাপড়ি চাট।