এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

করোনা প্রাণ কেড়েছে গত বছর, হাসপাতালের মর্গে এখনও পচছে দেহ

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২০ সালের ২ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়ে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে মারা যান দুর্গা সুমিত্রা এবং মনিরাজু নামের দুই রোগী। তাঁদের মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত ওই দুই রোগীর পরিবারের সদস্যদের জানায় করোনা সংক্রমনের সম্ভাবনা থাকায় ওই দুই রোগীর দেহ তারা পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারছে না। সেই সঙ্গে তারা এটাও জানায় তারা সম্মানের সাথে ওই দুই রোগীর দেহ সৎকার করবে। এরপর কেটে গিয়েছে ১৭ মাস। মনিরাজু এবং দূর্গা সুমিত্রার দেহ এখনও হাসপাতালের মর্গেই রয়েছে। কর্তৃপক্ষ নাকি ওই দুই রোগীর মৃতদেহ সৎকার করতেই ভুলে গিয়েছিল। সম্প্রতি এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বেঙ্গালুরুর ওই এলাকায়।

ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন অ্যান্ড মডেল হাসপাতালে। গতবছর জুন মাসে যখন ভয়াবহ রূপ নিয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের উপর আছড়ে পড়েছিল তখনই ওই দুই রোগী করোনা আক্রান্ত হন। মৃত ওই দুই রোগীর পরিবার  সূত্রে খবর, বাড়িতে তাঁদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু তার কয়েকদিন পরই ২ জুলাই ওই দুই রোগীর মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর তাঁদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃতদেহের থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলে পরিবারের লোকজনও খুব বেশি চাপ দেয়নি। কিন্তু এই ঘটনার প্রায় ১৭ মাস পর ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের শেষে এসে তাঁরা জানতে পারলেন এখনও ওই দুই রোগীর দেহ সৎকার করা হয়নি। মডেল হাসপাতালের মর্গেই পচছে দেহগুলি। সম্প্রতি এই খবর জেনে রীতিমতো বাকরুদ্ধ অবস্থা ওই দুই পরিবারের সদস্যদের। এই খবর জানার পর তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তোলা হয়েছে দুই পরিবারের তরফ থেকে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এতদিন পর কিভাবে আবিষ্কার হল দুর্গা সুমিত্রা এবং মনিরাজুর মৃতদেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি ওই হাসপাতালে মেইনটেনেন্সের কাজ শুরু হয়েছে। সেই কারণে হাসপাতালের মর্গ যখন ফাঁকা করা হচ্ছিল তখনই হাসপাতালের এক কর্মী ওই দুটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সেখান থেকেই গতা বিষয়টি সকলের সামনে আসে।

তবে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশাসনের তরফ থেকে উদ্যোগ নিয়ে ওই দুটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ দুটি সৎকারের জন্য পরিবারের লোকজনের হাতেও তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই এলাকার বিজেপি বিধায়ক সুরেশ কুমার জানিয়েছেন, হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাঁদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মোদির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর স্বপ্নভঙ্গ কৌতুকশিল্পী শ্যাম রঙ্গিলার, বাতিল মনোনয়নপত্র

১০ বছর ধরে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করছেন মোদি, তোপ প্রিয়ঙ্কার

৩৭ কোটি উদ্ধারের ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী আলমগীর আলমকে গ্রেফতার করল ইডি

সিএএ’তে নাগরিকত্ব শংসাপত্র পেলেন দিল্লির ১৪ বাসিন্দা

মনোনয়ন জমা দিলেন পবন সিংয়ের মা, আচমকা কী হল?

রাজস্থানে খনির লিফটের তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনা, নিহত ১

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর