নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের রেখচিত্র ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ সামান্য বেড়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭৭ জন। দৈনিক সংক্রমণ বাড়লেও দৈনিক মৃত্যু কমেছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। তবে সামান্য বেড়েছে শনাক্তের হার। অস্বস্তি বাড়িয়ে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও বেড়েছে।
চলতি সপ্তাহে কার্যত চোখ রাঙিয়ে চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সোমবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আটশোর গগণ্ডির নিচে থাকলেও মঙ্গলবার থেকেই আটশোর গণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে শুরু করেছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার সংক্রমণ সাড়ে আটশোর গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ফলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। যেহেতু শীত শুরু হচ্ছে, তাই মারণ ভাইরাস ফের তাণ্ডব চালাতে পারে শঙ্কা তাঁদের।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় ৪৪ হাজার ৩২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে মোট এক কোটি ৯৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ১৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হল। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৯৮ শতাংশে। নতুন করে ৮৭৭ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ লক্ষ ৮ হাজার ৩৯৩ জনে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে ঝরেছে আরও নয় প্রাণ। যার ফলে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১৯ হাজার ৩৬৪ জন।’
দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণঘাতী ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৩৩ জন। যার ফলে করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার ৯২২ জন। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ২৯ শতাংশে দাঁড়িয়ে। অ্যাকটিভ কেস বেড়েছে ৩১টি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁরিয়েছে ৮ হাজার ১০৭ জনে।’