নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো। গোটা রাজ্য মেতে উঠবে বাগ-দেবীর আরাধনায়। আর সরস্বতী পুজোর আগের সন্ধ্যায় রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বস্তি দিল। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ, দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্তের হার নিম্নমুখী। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৫২৩ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ জন এবং শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে তিন দশমিক ১০ শতাংশে। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে কলকাতাকে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা। তবে দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে কল্লোলিনী তিলোত্তমা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। নতুন করে ৪৯ হাজার ১৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশে। নতুন করে এক হাজার ৫২৩ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ তিন হাজার ৬৯২ জন। পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ৩৫ জন। যার ফলে রাজ্যে এ নিয়ে মারণ ভাইরাসের বলি হলেন ২০ হাজার ৭৫৮ জন।’
গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০৫ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন। কলকাতা মহানগরীতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮১ জন। তবে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। হুগলিতে ৫৭ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ওই জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। কলকাতার লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ জন। প্রাণ হারিয়েছেন দুই জন।’
করোনার করাল থাবা থেকে ক্রমশই মুক্ত হচ্ছে রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘করোনাকে হারিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৪২১ জন। এ নিয়ে মারণ ভাইরাসকে জয় করলেন ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৭২১ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ৯৩৩টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩ জনে।’