নিজস্ব প্রতিনিধি: অস্বস্তি কাটিয়ে ফের ফিরল স্বস্তি। রাজ্যে ফের নিম্নমুখী করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন বাদে শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট এক শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৯ জন। মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। আর পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন আর প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। সবচেয়ে স্বস্তির হলো, রাজ্যের ১৮ জেলাই মৃত্যুশূন্য দিন কাটিয়েছে।
বুধ ও বৃহস্পতিবার আচমকাই রাজ্যের করোনা সংক্রমণ ইউটার্ন নিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। ফলে সামান্য হলেও উদ্বেগ বেড়েছিল। কিন্তু সেই উদ্বেগ কেটেছে গত ২৪ ঘন্টার পরিসংখ্যানে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত দৈনিক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৩৫ হাজার৫৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশে। নতুন করে ৩১৯ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ১২ হাজার ৭৯৪ জনে। একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। এ নিয়ে করোনার বলি হলেন ২১ হাজার ১০৭ জন।’
স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে রাজ্যে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন ও প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। কলকাতা মহানগরীতে নতুন করে আরও ৩৮ জনের করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মারণ ভাইরাসের মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন আরও চারজন। জলপাইগুড়িতে দুইজন এবং বীরভূম ও পূর্ব মেদিনীপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হারও। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৩৪৬ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৯ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫১ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে এক হাজার ৪০টি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৭৩৬ জন।