নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই চার পুরনিগমের ভোট। আর তার আগের দিনই রাজ্যের করোনা সংক্রমণ অনেকটা স্বস্তি দিল। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ ফের কমেছে। একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৬৭ জন। কলকাতা বাদে রাজ্যের ২২ জেলাতেই দৈনিক সংক্রমণ একশোর গণ্ডির নিচে। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট-ও হ্রাস পেয়েছে। সংক্রমণ হার দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৭৩ শতাংশে। তবে আগের দিনের তুলনায় দৈনিক মৃত্যু সামান্য বেড়েছে। একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন।
শুক্রবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা সামান্য কমেছে। একদিনে নতুন করে ৪৪ হাজার ৩০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৭৩ শতাংশে। যার ফলে নতুন করে আরও ৭৬৭ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ৯ হাজার ৭১৭ জনে। একই সময়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২০ হাজার ৯৬৫ জন।’
সবচেয়ে স্বস্তির হলো, কলকাতা বাদে রাজ্যের ২২ জেলাতেই দৈনিক সংক্রমণ একশোর গণ্ডির নিচে নেমেছে। মহানগরীতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩১ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। দৈনিক সংক্রমণে যেমন রাজ্যে শীর্ষে কলকাতা, তেমনই দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাটিতে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, মারণ ভাইরাসের হাত থেকে ক্রমশই মুক্ত হচ্ছে বাংলা। গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণঘাতী ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৩৬১ জন। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৮ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৮ দশমিক ২৫ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ৬২১টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৮৪ জনে।