নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণে আরও কিছুটা স্বস্তি মিলল। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শুধু কমেইনি, ছয়শোর ঘরে নেমে এসেছে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬১৫ জন। তবে আগের দিনের চেয়ে দৈনিক মৃত্যু বেড়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ ঝরেছে ১৪ জনের। শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেটও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। তবে স্বস্তি দিয়েছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। ফের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা আট হাজারের গণ্ডির নিচে নেমেছে।
সপ্তাহ শুরুর দিনে অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে,’গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যের ১৫৩টি ল্যাবরেটরিতে ২৬ হাজার ৩০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২ কোটি ৩৫ হাজার ৫৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হল। নয়া নমুনা পরীক্ষায় ২ দশমিক ৩৪ শতাংশের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৬১৫ জন। এ নিয়ে রাজ্যে মারণ ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ লক্ষ ১০ হাজার ৪৬০ জনে। করোনায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় নিম্নমুখী হলেও দৈনিক মৃত্যুর চিত্র অবশ্য ঊর্ধ্বমুখী। মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন ১৪ জন। এ নিয়ে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত করোনার বলি হলেন ১৯ হাজার ৩৯৭ জন।’
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে থাকলেও কলকাতায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দীর্ঘদিন বাদে দুশোর গণ্ডির নিচে নেমে এসেছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘কল্লোলিনী তিলোত্তমায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৭৩ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। কলকাতার লাগোয়া জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৮ জন। আর মারা গিয়েছেন চার জন।’
দৈনিক সুস্থতাও অনেকটা স্বস্তি দিচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণঘাতী ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৭৬ জন। এ নিয়ে মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ১১৮ জন। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৩০ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে ৭৫টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ফের আট হাজারের গণ্ডির নিচে নেমে এসেছে। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৪৫ জনে।’