এই মুহূর্তে




মুখোশ পরে এসে মাদক খাইয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ, ফের শিরোনামে ওড়িশা

নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের গণধর্ষণ ওড়িশায়। মাদক খাইয়ে এক তরুনীকে ধর্ষণ করল তিন ব্যক্তি। অপরাধ করার উদ্দেশ্য নিয়েই তারা এসেছিল। তাদের মুখ ছিল কালো মুখোশে ঢাকা। ওড়িশার সুবর্ণপুর জেলায় কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তরুণী। তিনি একটি শোরুমে কাজ করতেন। ফেরার সময় ওই তিনজন এসে জোর করে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। তারপর মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

নির্যাতিতা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ধর্ষকরা তরুণীর মুখ খুলিয়ে কিছু একটা স্প্রে করে। তখনই তিনি জ্ঞান হারান। সেই সুযোগে ধর্ষকরা তরুণীকে অন্যদিকে নিয়ে যায় এবং গণধর্ষণ করে। বীরমহারাজপুর সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) হেমন্ত রাও এই তথ্য জানিয়েছেন। ধর্ষকরা নিজেদের পরিচয় গোপন করার জন্য কালো কাপড়ের মুখোশ পরে ছিল। সেই জন্য তরুণী তাদের শনাক্ত করতে পারেননি। তবে শুক্রবার সকালে পুলিশ দুই সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। তৃতীয় অভিযুক্তকে ধরার জন্য তল্লাশি চলছে। পরের দিন নির্যাতিতা জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর বীরমহারাজপুর থানায় যান এবং একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে এই  নক্বারজনক ঘটনাটি ঘটেছে তার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রমহারাজপুর থানা। ফলে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

ওড়িশায় নারী সুরক্ষা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। জুনের মাঝামাঝি থেকে ওড়িশা রাজ্য জুড়ে ধর্ষণের বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। তার মধ্যে কিছু আবার গণধর্ষণ। ২৮ জুন গঞ্জাম জেলায় এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় কর্তৃক সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়। ২২ বছর বয়সী অভিযুক্তকে পরে গ্রেফতার করা হয়। ২৫ জুন, গঞ্জাম জেলায় এক ক্লিনিক মালিক কর্তৃক ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পৃথক একটি ঘটনায়, ময়ূরভঞ্জ জেলার একটি স্থানীয় মন্দির থেকে বাড়ি ফেরার সময় এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল।

১৯ জুন ময়ূরভঞ্জ জেলায় ৩১ বছর বয়সী এক তরুণীকে চারজন মিলে গণধর্ষণ করে। একদিন আগে, কেওনঝড় জেলায় বাড়ির কাছে একটি ধানক্ষেতে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, আগের দিন সন্ধ্যা থেকে কিশোরী নিখোঁজ ছিল। পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর আগে তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। ১৫ জুন গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

মাস দুয়েক আগে বালেশ্বরের বিএড কলেজের যে ছাত্রীর কলেজ ক্যাম্পাসে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেছিলেন। তিনিও বিভাগীয় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন যৌন হেনস্থার। তিনদিনের যমে মানুষে টানাটানি শেষে গত ১৫ জুলাই ভুবনেশ্বর এইমসে মারা যান ওই ছাত্রী। শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তরুণীর। নারী নির্যাতনের ঘটনায় গত ১৯ জুলাই ফের শিরোনামে এসেছিল ওড়িশা। পুরীতে বছর পনেরোর এক কিশোরীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল দুর্বৃত্তরা। কিশোরীটি তার বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় বায়াবার গ্রামে তিনজন দুর্বৃত্ত এসে আচমকা মেয়েটির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার পর তিনজনেই চম্পট দেয়। স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুদিন আগে ময়ূরভঞ্জ জেলায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ১১ বছর বয়সী এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তারই জামাইবাবু সহ তিনজনের বিরুদ্ধে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডে বিরাট সাফল্য NIA-র, শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার আত্মঘাতী জঙ্গি উমরের সহযোগী

কর্নাটকের চিড়িয়াখানায় ৪ দিনে ৩১ টি কৃষ্ণসার হরিণের মৃত্যু, কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় প্রশ্ন

‘দিল্লি বিস্ফোরণে জড়িতদের পাতাল থেকে খুঁজে এনে কঠোর শাস্তি দেব’, হুঙ্কার অমিতের

সৌদি আরবে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় হায়দরাবাদের একই পরিবারের ১৮ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু

ইউনূসের আবদার মানছে দিল্লি, ফেরত পাঠানো হচ্ছে না হাসিনাকে

আরজেডি বিধায়ক দলের নেতা হিসাবে ফের নির্বাচিত তেজস্বী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ