নিজস্ব প্রতিনিধি, ইম্ফল: জাতিদাঙ্গায় বিধ্বস্ত মণিপুরে এক বেনজির ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দায়িত্ব দিয়ে যাদের রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল সেই আধা সামরিক বাহিনীর তিন জওয়ানের বিরুদ্ধেই একটি মাংসের দোকানে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত তিন জওয়ানকে আটক করেছে পুলিশ। আটক তিন আধা সেনা জওয়ানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
শনিবার রাতে রাজ্য পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইম্ফলের পোরোমপোত থানা এলাকায় একটি মাংসের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় তিন র্যাফ জওয়ান সোমদেব আর্য, কুলদীপ সিং ও প্রদীপ কুমার। স্থানীয বাসিন্দাদের চোখে পড়ে বিষয়টি। স্থানীয় বাসিন্দারাই এগিয়ে এসে দোকানের আগুন নেভান। ওই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি পুলিশের গোচরে আনা হয়। পুলিশ অভিযুক্ত তিন র্যাফ জওয়ানকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। জেরার মুখে তিন অভিযুক্ত দাবি করে, অনিচ্ছাকৃতভাবে ওই আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। মশার কয়েল জ্বালাতে গিয়ে কোনও ভাবে দোকানে আগুন লেগেছে। যদিও ওই বয়ান পুলিশ আধিকারিকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি।
উল্লেখ্য, মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষে গত মাস খানেক ধরেই উত্তপ্ত বিজেপি শাসিত মণিপুর। ইতিমধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৭০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি সামলাতে সেনা ও আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানী ইম্ফল-সহ একাধিক জেলায় জারি হয়েছে কার্ফূ। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এদিনই মণিপুর সফরে এসেছিলেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। আগামী সোমবার রাজ্যে আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।